আড়াই বছর আগে সবশেষ দেখায় সেনেগালের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে হেরেছিল ব্রাজিল। কার্লো আনচেলত্তির অধীনে এবার সে প্রতিশোধ তুলে নিলো সেলেসাওরা। সেনেগালকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার আফ্রিকান কোনো দেশের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) লন্ডনে এস্তেভাও উইলিয়ান ও ক্যাসেমিরোর গোলে ফিফা প্রীতি ম্যাচে সেনেগালকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাজিল। এই নিয়ে আফ্রিকান কোনো দেশের বিপক্ষে পঞ্চমবারের দেখায় প্রথম জয় পেল তারা। এর আগে মরক্কো ও ক্যামেরুনের কাছে হেরেছিল সেলেসাওরা।
সাদিও মানেদের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় এটি প্রথম জয় ব্রাজিলের। ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও সেনেগাল। প্রীতি ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালের জুনে মুখোমুখি দেখায় সেলেসাওরা হার দেখে সেনেগালের কাছে।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে আক্রমণের পর আক্রমণ করে দুটি গোলই আদায় করতে পেরেছে ব্রাজিল। ১৪টি শটের মধ্যে ছয়টি তারা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল। অন্যদিকে দুই বছর আগে লিসবনে পিছিয়ে থেকেও ৪-২ গোলে জেতা সেনেগাল ১১ শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে একটি।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। তবে ম্যাথিউস কুনহার শট গোলপোস্টে লেগে বল বাইরে যায়। ১৭ মিনিটে আবারও তার হেড আঘাত করে ক্রসবারে। মাঝে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভিনিসিয়ুসের শট রুখে দেন সেনেগালি কিপার এদুয়ার্দো মেন্দি।
অবশেষে এস্তেভাও’র কল্যাণে ২৮তম মিনিটে সাফল্যের দেখা পায় সেলেসাওরা। কাসেমিরোর থ্রু বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে ডি-বক্সে পান এস্তেভাও। ছুটে এসে বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
এর সাত মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্যাসেমিরো। বক্সের খানিকটা বাইরে থেকে রদ্রিগোর নেয়া ফ্রি-কিক ক্রস বক্সের ছয় গজ দূরত্বে অরক্ষিত পেয়ে দেখেশুনে কোনাকুনির শটে জালে জড়ান এ মিডফিল্ডার। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার প্রথমে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মেন্দিকে পরাস্ত করেন।
৪৫তম মিনিটে গোল শোধের সুযোগ এসেছিল সেনেগালের সামনে। তবে ব্রাজিলের রক্ষণের নৈপুণ্যে একাধিকবার শট নিয়েও ব্যর্থ হয় সেনেগালিজরা। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দারুণ একটি সেভ দিয়ে ব্রাজিলের জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক এদেরসন মোরালেস।
দ্বিতীয়ার্ধে লড়াই জমিয়ে তোলে সেনেগাল। সাদিও মানেরা বেশ কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিল। তবে কাঙ্খিত জালের দেখা পায়নি। অন্যদিকে ব্রাজিলও গোলের জন্য আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। তাতে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে।
সাধারণ চোখে এটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ হলেও ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে শিষ্যদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি। ব্রাজিলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সাত ম্যাচে চতুর্থ জয় পেলেন তিনি। আগামী ১৮ নভেম্বর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বছর শেষ করবে সেলেসাওরা।

