ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে নতুন করে বিচার শুরু হচ্ছে আগামী মার্চে। বুধবার বুয়েনস আইরেসের উপকণ্ঠ সান ইসিদ্রো আদালত এ ঘোষণা দিয়েছে।
প্রায় পাঁচ বছর আগে বুয়েনস আইরেসের বাইরে নিজ বাড়িতে মারা যান ম্যারাডোনা। অভিযোগ করা হয়েছে, মৃত্যুর আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল তার মেডিকেল টিম। ৬০ বছর বয়সী ম্যারাডোনা মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হচ্ছিলেন, তখনই হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
গত মে মাসে মামলার বিচার স্থগিত হয়েছিল। যখন তিন বিচারকের একজন জুলিয়েতা মাকিনতাচ, একটি তথ্যচিত্রে অংশগ্রহণ নিয়ে সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন। এবার সেই মাকিনতাচের বিরুদ্ধেও বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন বিচার—অভিযোগ, তিনি দায়িত্বে থেকে অসদাচরণ করেছেন। দোষী প্রমাণিত হলে তাকে পদচ্যুত করা হতে পারে।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোলদো লুকে, তার মনোবিদ, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিক্যাল সমন্বয়কারী ও নার্সরা। তারা সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ হলো ‘অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড’, যা ইচ্ছাকৃত হত্যার সমতুল্য নয়, কিন্তু অভিযুক্তরা তাদের অবহেলাজনিত কাজের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন বলে অভিযোগ। এই অপরাধে সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জেতানোর মাধ্যমে বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে কিংবদন্তি মর্যাদা পান। দরিদ্রতা থেকে খ্যাতির শিখরে ওঠার তার গল্প আর্জেন্টিনাবাসীর কাছে আজও অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত।
সূত্র: স্পোর্টস স্টার

