পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন-ঐকমত্য নিয়ে সব জায়গায় আলোচনা হচ্ছে। এসব থামিয়ে আমাদের একটা অবস্থানে পৌঁছতে হবে। যেখানে সবাই সবার দায়িত্ব পালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে তরুণদের নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এছাড়াও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরিতে তরুণদের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে হয়তো ভবিষ্যতে নেতিবাচক সংস্কৃতি তৈরির জন্য দায়ী করা হবে। এই সরকারের আমলে যাবতীয় আন্দোলন, দাবি আদায়ে সড়কে অবরোধ ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা এগুলো খারাপ দিক। তবে আমি আশাবাদী একসময় এটি চলে যাবে। এমনটি হয় দীর্ঘদিন না পাওয়ার মধ্যে দিয়ে গেলে।
তবে অভ্যুত্থানে নৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা তৈরি হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, এখন যারা রাজনীতিতে যাবে তাদের মধ্য থেকে শিক্ষিত নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। জনসংখ্যার কাঠামোয় তরুণদের সংখ্যা বেশি। সামনের দুই দশকের মধ্যে এই তরুণদেরও দেশকে গড়ে তুলতে হবে। তাই এখন সবার জন্যই সুবর্ণ সুযোগ। দেশে দেশে এখন তারুণ্যের জাগরণ হচ্ছে। যেহেতু তারা ফ্যাসিবাদ দেখেছে তাই তারা গণতন্ত্রে মনোযোগী হবে।
তিনি আরও বলেন, তরুণরা দেশের জন্য কিছু করতে চায় কিন্তু দিকনির্দেশনার অভাবে সেটা পারছে না। তরুণরা সবসময় অস্থিরতায় ভুগছে। এটার একটা কারণ জুলাই অভ্যুত্থানে তারা যে নৃশংসতা দেখেছে সেটি তাদের মধ্যে মানসিক প্রভাব ফেলেছে।

