spot_img

দল নয়, রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুফিদের অধিকার বুঝে নিতে হবে: নাসীরুদ্দীন

অবশ্যই পরুন

জুলাই অভ্যুত্থানের পর মাজারগুলোতে ক্রমাগত হামলার প্রেক্ষাপটে সুফি ঐতিহ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সুফিদের কোনো রাজনৈতিক দল বা ‘গডফাদার’-এর কাছে নয়, বরং সরাসরি রাষ্ট্রের কাছ থেকে নিজেদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে মাকাম সুফি ঐতিহ্য কেন্দ্র আয়োজিত ‘মাজার সংস্কৃতি-সহিংসতা, সংকট এবং ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এই আহ্বান জানান।

সুফিদের উদ্দেশ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দেশে ৩০০ আসনে গডফাদার রয়েছে, ভালো কোনো সংসদ সদস্য সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যান না। তাই তাদের কাছে কখনো সিজদা দেবেন না। এদের কাছে নিরাপত্তার নামে একবার যদি বিক্রি হয়ে যান, সারাজীবন মাজার রক্ষার নামে ভবিষ্যতে গোলাম বানিয়ে রাখবে। রাজনৈতিক দলের কাছেও নিজেদের বিকিয়ে দিলে গোলাম বানিয়ে রাখবে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর আপনাদের বাচ্চাদের রক্তের বিনিময়ে একটা সুযোগ হয়েছে নতুনভাবে দাঁড়ানোর। কোনো দলের কাছ থেকে নয় সংবিধান স্টেটের কাছ থেকে নিজের অধিকার নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। কারণ, স্টেটের মধ্যে আপনিও টাকা দিয়ে থাকেন। সেই সুযোগ আপনাদের কাজে লাগাতে হবে।

নাসীরুদ্দীন বলেন, সংবিধান পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত বর্তমান সংবিধানই অনুসরণ করতে হবে।

তিনি স্বীকার করেন, সংবিধানের অবশ্যই কিছু ঝামেলা রয়েছে বলে মাজারে আক্রমণগুলো হচ্ছে। তিনি আক্রমণ না করে সবার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণতান্ত্রিক চর্চা ছাড়া অন্য কোনো পন্থা অনুসরণ করার সুযোগ নেই।

তিনি মন্তব্য করেন, সুফিবাদের লোকেরা দেশের রাজনীতিতে অনুপস্থিত থাকার সুযোগেই কওমি পন্থিরা তাদের রাজনীতির মাঠ শক্ত করছে।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, এই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং এর বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সই করা আদেশ জারি করতে হবে। তিনি দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে যাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি সতর্ক করে দেন যে, এতে বাধা দিলে নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দেশ সংকটে পড়বে।

আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক মর্যাদার ভিত্তিতে হওয়া উচিত, কোনো নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে নয়। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক না করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে করেছিল। আর পাকিস্তান নতুন করে একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টির দৌড়ঝাঁপ করছে। দুটি রাষ্ট্রকে বলবো—আমাদের দীর্ঘ সময়ের গল্প রয়েছে, আমরা একই নদীর পানি পান করি। তাই চাই, কোনো দলের সঙ্গে নয়, স্টেট টু স্টেট মর্যাাদার ভিত্তিতে সম্পর্ক হোক।

সর্বশেষ সংবাদ

শীঘ্রই জাতীয় চিড়িয়াখানায় আসছে নতুন প্রাণী: ফরিদা আখতার

জাতীয় চিড়িয়াখানার স্বাভাবিক পরিবেশের উন্নয়নে জনবল ঘাটতি দ্রুত পূরণ করা হবে এবং অনেকগুলো প্রাণীর স্বাভাবিক আয়ু ফুরিয়ে যাওয়ায় শিগগিরই...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ