রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভবিষ্যতে বৈঠকে বসতে পারেন—এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না ক্রেমলিন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ কথা জানান।
পেসকভ বলেন, ‘হ্যাঁ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন যে আপাতত তিনি কোনো শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের কথা ভাবছেন না। তবে গত দুই দিনে তিনি বারবার উল্লেখ করেছেন, ভবিষ্যতে এমন একটি বৈঠক হতে পারে— এমন সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও কোনো তারিখ বা বিস্তারিত কিছু নির্ধারিত হয়নি। তাই এটিকে ব্যর্থ বলা সঠিক হবে না। পুতিন বা ট্রাম্প— কেউই শুধুমাত্র দেখা করার জন্য দেখা করতে চান না। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ফলপ্রসূ আলোচনা।’
রুশ মুখপাত্র জানান, এমন বৈঠক ফলপ্রসূ করতে হলে আগে থেকেই প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করতে হবে মন্ত্রী পর্যায়ে—বিশেষ করে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মাধ্যমে।
ইউক্রেন ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে পেসকভ বলেন, বর্তমানে আলোচনা ‘দীর্ঘস্থায়ী বিরতিতে’ আছে। এর জন্য তিনি কিয়েভের আলোচনায় আগ্রহহীনতাকে দায়ী করেন। তার ভাষায়, ‘ইউক্রেনের ইউরোপীয় পৃষ্ঠপোষকেরাই কিয়েভকে শান্তি প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে নিরুৎসাহিত করছে।’
সম্প্রতি পুতিনের ‘বিস্ময়কর জবাব’ সংক্রান্ত হুঁশিয়ারির প্রসঙ্গে পেসকভ বলেন, প্রেসিডেন্ট কোনো নির্দিষ্ট অস্ত্রের কথা বলেননি; বরং যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে, তবে রাশিয়া তা সাধারণভাবে বিবেচনা করছে।
নতুন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী জবাব দেবে। ‘আমরা বর্তমানে ঘোষিত নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করছি। রাশিয়া এমন পদক্ষেপ নেবে যা আমাদের নিজস্ব স্বার্থের পক্ষে যায়,’ বলেন তিনি।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে পেসকভ বলেন, নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ছয় মাস পর মূল্যায়ন করা হবে। ‘আমরা দেখছি কীভাবে পরিস্থিতি এগোয়। আগের বছরের ঘটনাগুলোও বিবেচনায় রেখে আগামী ছয় মাস কিংবা এক বছর পর মূল্যায়ন করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পাদনের আগ্রহের বিষয়ে পেসকভ বলেন, ‘রাশিয়াও সেই ইচ্ছা পোষণ করে।’ তবে তিনি জানান, ‘পূর্ববর্তী জাপানি সরকারগুলোর অমিত্রভাবাপন্ন পদক্ষেপের কারণে’ বর্তমানে সংলাপ প্রায় বন্ধ রয়েছে।

