সৌম্য সরকার আর সাইফ হাসানের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটিতে মনে হচ্ছিল তিনশোর্ধো রান পেয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু শক্ত ভীতে দাঁড়িয়ে প্রত্যাশার দাবি মেটাতে পারলেন না বাকি ব্যাটাররা। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে লক্ষ্যটা নাগালেই রাখলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নির্ধারীত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯৬ রান।
যে মাঠে আগের দুই ম্যাচে রানের জন্য হাপিত্যেস করেছে ব্যাটাররা, সেই মাঠেই এবার ২৫ ওভারে ১৭৬ রানের ওপেনিংস জুটি গড়েন বাংলাদেশের দুই ওপেনার।
৪৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করা সাইফ আউট হয়েছেন ৭২ বলে ৬টি করে ছক্কা-চারে ৮০ রান করে। সৌম্য করেন ৮৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রান।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে ষষ্ঠবার ১৫০ রান এলো। সর্বোচ্চ ২৯২, ২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিটন দাস ও তামিম ইকবালের।
২০২৩ সালের মার্চের পর এই প্রথম ওয়ানডে ওপেনিং জুটি থেকে শতরান পেল বাংলাদেশ। সিলেটে সেই ম্যাচেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন তামিম ও লিটন।
সব দল মিলিয়ে ২০১৫ সালে ১১ নভেম্বরের পর মিরপুরে ওয়ানডেতে এটাই সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন বাংলাদেশের তামিম ও ইমরুল কায়েস।
দলীয় ১৭৬ রানে সাইফ ফিরতেই ভাটা পড়ে রানের গতিতে। লম্বা সময় উইকেটে থেকেও সুবিধা নিতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। উইকেটে ধুঁকতে থাকা এই টপ অর্ডারের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ২৮ রান।
৫ রানের ব্যবধানে দুজনের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও হৃদয় স্কোরটাকে নিয়ে যান ২৩১ রানে।
শান্তরও শুরুটা ধীর হলেও পুষিয়ে দেওয়ার পথেই ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হন ৫৫ বলে ৩ ছক্কায় ৪৪ রান করে।
শান্তর ফেরার মধ্য দিয়ে দ্রুত ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর ৩টিই ৪৬তম ওভারে নিয়েছেন আকিল হোসেন। সেখান থেকে ২৪ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন নুরুল ও মিরাজ। তিনশ’র কাছে যায় দল।
১৭ বলে এক চারে ১৭ রান করেন মিরাজ। ৮ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।
৪১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন আকিল হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ (সাইফ ৮০, সৌম্য ৯১, হৃদয় ২৮, শান্ত ৪৪, মাহিদুল ৬, রিশাদ ৩, নাসুম ১, সোহান ১৬*, মিরাজ ১৭; আকিল ১০-১-৪১-৪, চেইস ৮-১-৫৩-১, পিয়ের ১০-০-৪৬-০, গ্রেভস ৭-০-৬১-০, মোটি ৮-০-৫৩-১, আথানেজ ৭-০-৩৭-২)