টেলিভিশন সিরিজে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে শোবিজে আত্মপ্রকাশ। ‘ওয়ারিয়র হাই’ দিয়ে শুরু, এরপর পরদেশ মে হ্যায় মেরা দিল, পোরাস-এ অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পান লক্ষ্য লালওয়ানি। এরইমধ্যে গত ১১ অক্টোবর ফিল্মফেয়ারের আসরে জিতে নিলেন সেরা অভিনেতার পুরষ্কার। কিন্তু এ এই লক্ষ?
বলিউডে এটা ছিলো তার প্রথম ছবি। ফিল্মফেয়ার পুরস্কার গ্রহণের পর লক্ষ বলেন, ‘আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হলো। এই মুহূর্তটা আমি কোনোদিন ভুলবো না।’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন নিখিল নাগেশ ভাট এবং প্রযোজনা করেছে করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন ও সিক্য এন্টারটেইনমেন্ট। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে মুক্তি পাওয়া ‘কিল’ থ্রিলার ও অ্যাকশন ঘরানার এক ব্যতিক্রমী চলচ্চিত্র যেখানে লক্ষের চরিত্র ও পারফরম্যান্স সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
শুধু ফিল্মফেয়ার নয়, এই একই ছবির জন্য লক্ষ লালওয়ানি ২৫তম আইফা পুরস্কার অর্জন করেছেন।
ছোট পর্দায় যাত্রা:
লক্ষ লালওয়ানি অভিনয় শুরু করেন জনপ্রিয় ধারাবাহিক *‘পেয়ার তুনে কেয়া কিয়া’* এবং *‘পরদেশ ম্যায় হ্যায় মেরা দিল’* দিয়ে। এরপর *‘পরুস’* সিরিজে অভিনয় করে বেশ আলোচিত হন।
‘পরুস’* চলাকালে লক্ষকে একটি টিভি শোতে প্রতিদিন ₹১৫,০০০ রুপির অফার দেওয়া হয়েছিল। পরিবার চাইলেও তিনি অফারটি নেননি। তার ভাষায়, *“এটা শুধু টাকার বিষয় ছিল না, এটা ছিল স্বপ্নের ব্যাপার।”
৩০ লাখ রুপির বেতন ছেড়ে সিনেমায় ঝুঁকি:
রণবীর আলাহবাদিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে লক্ষ জানান, এক সময় টিভি থেকে তাঁর মাসিক আয় ছিল প্রায় ৩০ লাখ রুপি। সেই নিরাপদ আয় ছেড়ে বলিউডে আসার সিদ্ধান্ত ছিল একটি বড় ঝুঁকি।
বলিউডে অভিষেক:
২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কিল’ সিনেমা দিয়ে লক্ষর বলিউড যাত্রা শুরু। ছবিটি পরিচালনা করেন নিখিল নাগেশ ভাট; প্রযোজনা করে ধর্মা প্রোডাকশন ও শিখ্যা এন্টারটেইনমেন্ট। সহ-অভিনেতা ছিলেন রাঘব জুয়াল, আশিষ বিদ্যার্থী ও তানিয়া মানিকতলা।
ওয়েব সিরিজে আগ্রহ:
‘কিল’ ছবির পর লক্ষ ওয়েব সিরিজ ‘ব্যা***ডস অব বলিউড’-এও কাজ করেন। এখানে রাঘবের সঙ্গে তার সম্পর্ক বদলায়; সিনেমায় ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী, সিরিজে ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
সাহস ও স্বপ্নের গল্প:
লক্ষ্যের মতে, “টিভি বা সিনেমা—যেখানেই থাকি, আমি নিজের সেরাটা দেব। স্বপ্ন পূরণে চ্যালেঞ্জ থাকবেই।”
সমালোচকরা মনে করছেন, ‘কিল’ ও পরবর্তী কাজগুলোতে তার পারফরম্যান্স ইঙ্গিত দেয়, লক্ষ বলিউডে আরও বড় চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।