ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বিগত সময়ে অযাচিত আইন করে মানুষের তথ্য হুমকির মুখে পড়ার পাশাপাশি জাল তথ্য দিয়ে মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ।
আজ রোববার সকালে আইসিটি ভবনের সম্মেলন কক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রণীত ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ এবং সাইবার সুরক্ষায় সংশোধিত অধ্যদেশ ২০২৫ সহ সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত বিষয়গুলোর আলোচনায় তিনি এসব বলেন। তথ্য প্রযুক্তিতে বিদেশি কাঠামো বিবেচনায় বাংলাদেশ ২০ থেকে ২৫ বছর পিছিয়ে উল্লেখ করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অধ্যাদেশগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও জানানো হয় ।
ফয়েজ আহমদ বলেন, দেশে আইনের শাসনের পাশাপাশি এর যথাযথ ব্যবহার জরুরি।একইসাথে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রযুক্তির কাজে সমন্বয়হীনতার ফলে অর্থ অপচয় হওয়ায় আইনের সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে তা নিরসনে সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি। আলোচনায় নাগরিক জীবনে তথ্যের নিশ্চয়তা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং জবাবদিহিতার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়।
এই আইন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী।
তিনি বলেন, যৌক্তিক সমালোচনা করুন। সেটাকে স্বাগত জানাই। অহেতুক সমালোচনা করে সরকারের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা যাবে না।
রোববার (১২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুমোদন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।