যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক বেন শাপিরোর সঙ্গে সোমবার (৬ অক্টোবর) এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছেন, ইরান এমন আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে যা দিয়ে ‘নিউইয়র্ক, বোস্টন, ওয়াশিংটন বা মায়ামি শহরগুলোকে পারমাণবিক হামলার আওতায় আনা সম্ভব’।
সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু আরও বলেন,
‘ইরান যেকোনো মার্কিন শহরকে জিম্মি করার মতো ক্ষমতা অর্জন করছে। মানুষ এটা বিশ্বাস করতে চায় না, কিন্তু ইরান ৮,০০০ কিলোমিটার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে— আরও ৩,০০০ কিলোমিটার যোগ করলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে পৌঁছে যাবে।’
তিনি আরও বলেন,
‘ইরানিরা আমেরিকার মৃত্যু হোক স্লোগান দেয়। তাই তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ইসরায়েল এই হুমকি প্রতিরোধে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে।’
নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল প্রতিরক্ষা চুক্তির সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে এমন সব আক্রমণাত্মক অস্ত্র তৈরি করছে, যা অন্য কোনো পরাশক্তির কাছেও নেই।
‘বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি তৈরি করছে ইসরায়েল এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভাগাভাগি করেই সম্পন্ন হচ্ছে,’ বলেন নেতানিয়াহু।
তিনি আরও দাবি করেন, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে ভূমিকা রেখেছে।
‘আমরা আইএস এবং অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা ঠেকিয়েছি,’ বলেন তিনি।
গাজা যুদ্ধ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, সংঘাতের সমাপ্তি এখন খুব কাছাকাছি। তবে হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন,
‘ইসরায়েল এখন মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তবে আমাদের মিশন এখনো শেষ হয়নি। গাজায় যা শুরু হয়েছিল, সেটা গাজাতেই শেষ হবে— আমাদের ৪৬ জন বন্দির মুক্তির মাধ্যমে এবং হামাস শাসনের অবসান ঘটিয়ে।’
সূত্র: দ্য জেরুসালেম পোস্ট।