দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে যেসব নির্দেশনা জানানো হয়েছে, তা হলো:
অবৈধভাবে কাজ করা: কোনো প্রবাসী কর্মী যদি মালদ্বীপে অবৈধভাবে কাজ করেন, তবে মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী তাকে ১০ বছরের জন্য দেশ থেকে বিতাড়িত (ডিপোর্ট) করা হবে। এই ধরনের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।
‘ফ্রি ভিসা’র ব্যাপারে সতর্কতা: মালদ্বীপে ‘ফ্রি ভিসা’ বলে কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কর্মী যে কোম্পানির নামে ভিসা গ্রহণ করেছেন, তাকে সেই কোম্পানির অধীনেই কাজ করতে হবে। অন্য কোনো স্থানে কাজ করা বা ‘ফ্রি ভিসায়’ কাজ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নিয়ম ভঙ্গ করলে কর্মীকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য ডিপোর্ট করা হতে পারে।
অভিবাসন ব্যয়: মালদ্বীপে কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮০ টাকা। ওয়ার্ক ভিসায় মালদ্বীপে যেতে ইচ্ছুক প্রত্যেককে এই ব্যয়ের অতিরিক্ত কোনো অর্থ প্রদান না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। মালদ্বীপে মানবপাচার একটি গুরুতর অপরাধ, এবং এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ভ্রমণ ভিসার নিয়ম: ভ্রমণ ভিসায় মালদ্বীপে আগত কোনো ব্যক্তি ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় অবস্থান করলে তা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এই অপরাধের ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধান প্রযোজ্য। ভ্রমণ ভিসায় অবস্থানকালে চাকরি, ব্যবসা বা ব্যবসাসংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
নিষিদ্ধ পণ্য বহন:
তামাকজাত পণ্য: মালদ্বীপ সরকার বিড়ি এবং সিগারেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মালদ্বীপের বাইরে থেকে এসব পণ্য নিয়ে প্রবেশ করলে ব্যাপক হারে জরিমানা করা হবে।
ওষুধ: বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ বহনের ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন সঙ্গে রাখতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বহন করলে আর্থিক জরিমানাসহ অন্যান্য আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
খাবার ও বাণিজ্যিক সামগ্রী: বাংলাদেশ থেকে রান্না করা খাবার এবং বিক্রির উদ্দেশ্যে গার্মেন্টস, পলিব্যাগ বা এ ধরনের অন্য কোনো সামগ্রী বহন করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ এবং আইনত দণ্ডনীয়।