গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে আরব দেশগুলো। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক খোলা অধিবেশনে এই আহ্বান জানান কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ।
তিনি জানান, গাজার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে অবরোধ, ধ্বংসযজ্ঞ এবং অন্যায় হত্যাযজ্ঞের শিকার। ইতোমধ্যে ৬০ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। পরিস্থিতিকে তিনি ‘গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের জীবন্ত উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘে মিসরের স্থায়ী প্রতিনিধি ওসামা আবদেলখালেক বলেন, নানা উসকানির পরও মিসর পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করেছে। তবে ইসরায়েলের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জেদ গাজায় মানবিক বিপর্যয়কে ভয়াবহ করেছে।
ফিলিস্তিনের জাতিসংঘ দূত রিয়াদ মানসুর বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা মানুষ, আমাদের জীবন, স্বাধীনতা ও মর্যাদার অধিকার আছে। গাজায় যে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে, তার কোনো ন্যায্যতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজাকে রক্ষা করুন, ফিলিস্তিনকে রক্ষা করুন, শান্তিকে রক্ষা করুন।’
আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা নজিরবিহীন নিষ্ঠুরতা। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—ফিলিস্তিনি সমাজকে ধ্বংস করা, ভূখণ্ডকে বসবাসের অযোগ্য করে জনগণকে বাইরে ঠেলে দেওয়া।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজার এই সংকট সীমান্তে থেমে থাকবে না। একই সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি নৈতিক ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
গেইত বলেন, ‘সময় এসেছে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আজই যুদ্ধ শেষ করি, আগামীকাল নয়। গাজা পুনর্গঠন শুরু করি, শিশুদের শৈশব ফিরিয়ে দিই।’