বাল্টিক সাগরের নিরপেক্ষ আকাশসীমায় রুশ সামরিক বিমানের গতিবিধি শনাক্ত হওয়ার পর জার্মান বিমানবাহিনী জরুরি ভিত্তিতে দুইটি ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমান পাঠায়। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ন্যাটোর নির্দেশে “কুইক রিঅ্যাকশন অ্যালার্ট ফোর্স” এই অভিযানে অংশ নেয়।
জার্মান বিমানবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, উড়োজাহাজটি ছিল রাশিয়ার একটি আইএল-২০ এম গোয়েন্দা বিমান। ভিজ্যুয়াল শনাক্তকরণের পর সেটিকে ন্যাটোর সুইডিশ অংশীদারদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং অভিযান শেষে জার্মান বিমানগুলো রস্টক-লাগে ঘাঁটিতে ফিরে যায়। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ন্যাটো বা জার্মান বিমানবাহিনী।
এ ঘটনা এমন সময় ঘটলো যখন গত শুক্রবার এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় রুশ যুদ্ধবিমানের আরেকটি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে আসন্ন মঙ্গলবার ন্যাটোর নর্থ আটলান্টিক কাউন্সিল বৈঠক করবে। এস্তোনিয়া অভিযোগ করে, তিনটি রুশ মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান অনুমতি ছাড়া তাদের আকাশে ঢুকে টানা ১২ মিনিট অবস্থান করে। এ ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টেন মিশাল ন্যাটো চুক্তির ৪নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জরুরি পরামর্শ সভা আহ্বানের অনুরোধ জানিয়েছেন। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো সদস্য রাষ্ট্র তার ভৌগোলিক অখণ্ডতা বা নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে ন্যাটোর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পায়।
এর আগে ন্যাটোর পূর্ব সীমান্তেও আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ফলে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি রোমানিয়া তার আকাশসীমায় রুশ ড্রোন শনাক্ত করে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে, আর পোল্যান্ড দাবি করেছে তারা তাদের আকশসীমায় কয়েকটি রুশ ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
সূত্র: আল জাজিরা