ইসলামে দিনের সূচনা বিশেষ গুরুত্বের বিষয়। ভোরের স্নিগ্ধ সময়ে আল্লাহর ইবাদত মানুষের অন্তরে প্রশান্তি আনে, মন-প্রাণ সতেজ রাখে এবং জীবনের প্রতিটি কাজে বরকত নেমে আসে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের সকাল সময়কে আমার উম্মতের জন্য বরকতময় করে দিন।’ (সুনান আবু দাউদ)
অর্থাৎ, সকালকে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তবে পুরো দিনের জন্য আল্লাহর রহমত ও বরকত অর্জন সম্ভব।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতএব তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর সকাল-সন্ধ্যায় তোমার প্রভুর স্তুতি ঘোষণা করো।’ (সূরা গাফির, আয়াত ৫৫)
সকালে করার আমল
ফজরের নামাজ জামাতে আদায়: হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, সে যেন সারা রাত ইবাদত করেছে।’ (সহিহ মুসলিম)
কুরআন তেলাওয়াত: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর ফজরের কুরআন অবশ্যই সাক্ষ্যযুক্ত।’ (সূরা ইসরা, আয়াত ৭৮)
অর্থাৎ, ফজরের সময় কুরআন পাঠ করা বিশেষভাবে ফজিলতপূর্ণ।
‘আল্লাহুম্মা বিআসবাহনা, ওয়া বিআসবা-হাল মুলকু লিল্লাহ।’ (তিরমিজি)
এসব দোয়া মানুষকে সারাদিন নিরাপদ রাখে।
দরুদ শরিফ পাঠ: নবীর ওপর দরুদ পাঠ করলে আল্লাহর রহমত নেমে আসে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (সহিহ মুসলিম)
ইস্তিগফার করা: কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তারপর তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করো, তিনি তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উত্তম ভোগ-সুখ ভোগ করতে দেবেন।’ (সূরা হুদ, আয়াত ৩)
নফল ইবাদত (তাহাজ্জুদ বা চাশতের নামাজ): যদি সম্ভব হয়, ফজরের আগে তাহাজ্জুদ এবং সূর্যোদয়ের পর চাশতের নামাজ পড়া অনেক ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন সকালে তোমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর সদকা করা কর্তব্য হয়ে যায়। দু’ রাকাত চাশতের নামাজ সব সদকার সমান।’ (সহিহ মুসলিম)