বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচটা একদমই ভালো যায়নি নিকোলাস ওতামেন্ডির। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে এই আর্জেন্টাইন তারকাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। আর এই লাল কার্ডের জন্য আগামী বছর বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিতে দর্শক হয়েই থাকতে হবে ৩৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘তেলেফ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অবসর বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান ওতামেন্ডি। আকাশী-সাদা জার্সিতে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলেই জাতীয় দলকে বিদায় বলার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, ‘সামনের এই বিশ্বকাপই হবে আমার জাতীয় দলের হয়ে শেষ প্রতিযোগিতা। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি এই জার্সি পরে নিজের সেরাটা দিতে।’
২০০৯ সালে পানামার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেক হয় ওতামেন্ডির। এরপর আলবিসেস্তাদের হয়ে ১২৮ ম্যাচ খেলে ৭টি গোলও করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে অবসরের ঘোষণা ছাড়াও ফুটবলে ক্যারিয়ারে নিজের উত্থান-পতন নিয়ে কথার ঝাপি খুলে বসেন ওতামেন্ডি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সংগ্রাম আর লড়াই করে যোদ্ধার মতো এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
বর্তমানে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার হয়ে খেলা এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘প্রথম ডিভিশনে খেলাই আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল, তারপর সেখান থেকে জাতীয় দলে পৌঁছানো তো আরও কঠিন। আমার পরিবার আমাকে শিখিয়েছে, জীবনে সবকিছুর দাম আছে। যোদ্ধার মতো লড়তে হবে, নিজের সেরাটা দিতে হবে। আর যেদিন কিছু হবে না, পরের দিন আবার চেষ্টা করতে হবে। সেটাই জীবন।’
জাতীয় দলে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারের জীবনের সেরা মূহূর্ত কোনটি? এমন প্রশ্নে ২০২২ সালে জেতা কাতার বিশ্বকাপকেই বেছে নেন তিনি, ‘কাতারের সেই দিনগুলো এখনও চোখের সামনে ভাসে। কুটি (ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো) তখন শ্যাম্পেন খাচ্ছে, সিগার টানছে, এক কথায় সবকিছু যেন পাগলাটে। এই স্মৃতিগুলো সারাজীবন মাথায় গেঁথে থাকবে। সেই শিরোপার কোনও তুলনা হয় না।’
আর্জেন্টিনার ভেলাসে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে আর্জেন্টিনায় ফিরবেন কি না জানতে চাইলে ভবিষ্যতের হাতেই ছেড়ে দেন তিনি, ‘সত্যি বলতে, এখনও কিছু জানি না। ২০২৬ বিশ্বকাপের পর সেটা ভেবে দেখব, দেখা যাক। ফিদেও (ডি মারিয়া) ফিরে এসেছে, চমৎকার খেলছে। লেয়াও (পারেদেস)। তারা আমার বন্ধু, আর ওদের খুশি দেখে আমারও খুব আনন্দ হয়।’