আজ ১১ সেপ্টেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা—৯/১১-এর ২৪তম বার্ষিকী। ২০০১ সালের এই দিনে চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে সংঘটিত হয় নজিরবিহীন ওই ঘটনা। যাতে প্রাণ হারান দুই হাজার ৯৭৭ জন মানুষ।
চব্বিশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এক হাজার ১০০ জনেরও অধিক নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এক হাজার ৬০০-এর বেশি ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
চারটি বিমান, চারটি হামলা
হামলার দিন দুটি বিমান নিউইয়র্ক শহরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে আছড়ে পড়ে। এতে ভবন দুটিতে ভয়াবহ আগুন ধরে যায় এবং হাজারো মানুষ আটকা পড়ে। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ১১০ তলা বিশিষ্ট দুটি ভবনই ধসে পড়ে।
বিশ্বজুড়ে প্রভাব ও বাংলাদেশি নিহত
৯/১১ হামলায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সারা বিশ্ব। বাংলাদেশসহ প্রায় ৭৮টি দেশের নাগরিক ওই হামলায় প্রাণ হারান। আহত হন আরও প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ধ্বংসে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিই নয়, বৈশ্বিক বাজারেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। পরে, ২০০৬ সালে টাওয়ার পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং ২০১৪ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় নতুন ভবন। বর্তমানে হামলার স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর।
৯/১১ স্মরণে প্রতি বছর নানা আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র। এবারও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার প্রাঙ্গণে হাজারো মানুষ ফুল, মোমবাতি ও মালা নিয়ে উপস্থিত হবেন নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে।
আয়োজনে থাকবে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মুখে তাদের প্রিয়জনদের নাম পাঠ, নীরবতা পালন, এবং বিশেষ স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান।
পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ও যুদ্ধ
এই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করে সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধের ঘোষণা দেয়। আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা, যার ফলে প্রাণ হারান বহু নিরপরাধ সাধারণ মানুষ।
দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন অভিযানে তৎকালীন আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন নিহত হন।
সূত্র: সিবিএস