ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ি দেশের রপ্তানি বাজারে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইরানের তেল খাত এখনো পুরোনো পদ্ধতির ওপর নির্ভর করছে এবং উৎপাদনে দেশটি বিশ্বের অন্যান্য তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে আছে।
ক্যাবিনেট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে খামেনেয়ি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে তেল উৎপাদনের গুরুত্ব স্পষ্ট, কিন্তু আমাদের উৎপাদন কম। আমাদের পদ্ধতি পুরোনো, যন্ত্রপাতি পুরোনো… আমরা বিশ্বের অনেক তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে আছি।
পশ্চিমা চাপ মোকাবিলায় শুধু উৎপাদন বৃদ্ধি নয়, রপ্তানি বাজারে বৈচিত্র্য আনার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। খামেনেয়ি বলেন, তেল রপ্তানিতে আরও “গতি” প্রয়োজন এবং একাধিক ক্রেতার দিকে নজর দিতে হবে। বর্তমানে ইরানের প্রধান ক্রেতা চীন, যেখানে দেশটির মোট রপ্তানির প্রায় ৯২ শতাংশ তেল যাচ্ছে। তবে এসব তেল অনেক সময় বড় অংকের ছাড় দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই ইরানের তেল খাত ভয়াবহ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর আবারও “সর্বোচ্চ চাপ” কৌশল নিয়ে তেহরানের অর্থনীতি দুর্বল করার পথে হাঁটছেন।
এদিকে ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোর সম্পর্কও ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত মাসে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি যৌথভাবে ২০১৫ সালের চুক্তির “স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম” সক্রিয় করেছে। এর ফলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ফের কার্যকর হওয়ার পথে।
অন্যদিকে ইরান সম্প্রতি জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেছে। কারণ, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাত চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে তেহরান-ওয়াশিংটনের নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনাও ভেঙে পড়ে।
সূত্র : আল আরাবিয়া