বাংলাদেশ জাতীয় দলে যুক্ত হয়ে আলোড়ন তুলেছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। তার আগমনে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলেও তৈরি হয়েছিল ব্যাপক উচ্ছ্বাস। নেপালের ফুটবলপ্রেমীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তার খেলা দেখার জন্য। কিন্তু চোট ও ক্লাবের ব্যস্ত সূচির কারণে বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচে খেলছেন না হামজা।
তবুও ম্যাচের আগের দিন শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুতে সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে উঠে এলো হামজার নামই।
নেপালের অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাট রস বলেন, ‘হামজা থাকুক বা না থাকুক, বাংলাদেশ শক্তিশালী দল নিয়েই খেলবে। তার বিকল্পও মানসম্পন্ন ও পেশাদার খেলোয়াড়। তাই হামজার অনুপস্থিতি আমাদের জন্য বড় কোনো সুবিধা নয়।’
নেপালের অধিনায়ক কিরণ লিম্বুও আক্ষেপের সুরে বললেন, ‘আমরাও চাইতাম হামজাকে মাঠে দেখতে। নেপালে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও তার জন্য মুখিয়ে ছিল। এত বড়মাপের খেলোয়াড়কে আমাদের বিপক্ষে খেলতে দেখাটা বিশেষ কিছু হতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা অবশ্য আশাবাদী জয়ের ব্যাপারে। তিনি বলেন, ‘হামজা নেই, শমিতও নেই, অনেকে অনূর্ধ্ব-২৩ দলে আছে। তবে এই দলের ৯৫ শতাংশ খেলোয়াড়ই ছিল ২০২৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে, যেখানে আমরা দুর্দান্ত খেলেছিলাম। লেবানন, ফিলিস্তিন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও এদের বেশিরভাগ খেলেছে। তাই আমরা দ্বিতীয় সারির দল নয়, পূর্ণ শক্তির দল এনেছি। কঠিন প্রতিযোগিতার আশা করছি।’
বাংলাদেশ ও নেপাল—দুই দলই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলছে মূলত অক্টোবরের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে। এ নিয়েই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন নেপাল কোচ ম্যাট রস, ‘আমরা প্রস্তুতির কথা বলছি ঠিকই, তবে কাল রাতের বাঁশি বাজলে মনোযোগ থাকবে শুধুই সেই ৯০ মিনিটে। আমরা জেতার জন্য মরিয়া।’