দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীন গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) একটি বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনসহ দুই ডজনেরও বেশি বিশ্বনেতা উপস্থিত ছিলেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং নিজ দেশের অত্যাধুনিক অস্ত্রভাণ্ডার প্রদর্শন করেন এবং তিয়েনআমেন স্কোয়ারে ৫০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে ভাষণ দেন।
এই আয়োজনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই অনুষ্ঠানে জাপানের পরাজয়ে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা উচিত ছিল। তিনি তার সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ শি চিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উনকে উদ্দেশ্য করে একটি ব্যঙ্গাত্মক বার্তা লেখেন।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কুচকাওয়াজকে ‘দারুণ এবং চমকপ্রদ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি আমার বন্ধু। তবে আমি মনে করি, সেই বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের নাম আসা উচিত ছিল, কারণ আমরা চীনকে অনেক সাহায্য করেছিলাম।” ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
শি চিনপিং তার বক্তৃতায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে চীনা জাতির ‘মহান পুনর্জাগরণের’ এক গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেননি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক খুবই টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেন ইস্যু, দক্ষিণ চীন সাগরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তবে ট্রাম্প বারবারই দাবি করেছেন, শির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ইতিবাচক এবং তাদের মধ্যে শিগগিরই বৈঠক হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স