অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আরপিও সংশোধন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আগে ভোট শুরু নিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ছিল। তবে মাঝখানে তা সংশোধন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবেদনের পর ভোট শুরুর বিধান হয়েছিল। এটাকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফলে ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার সর্বেসর্বা হবেন।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরাসহ অন্যরা ভোটকক্ষের ভেতরে কতক্ষণ থাকবেন তা নির্ধারণের ক্ষমতা প্রিজাইডিং অফিসারকে দেয়া হয়েছে। একজন প্রার্থী ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। তবে মোট খরচের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার মধ্যে হতে হবে।
এদিকে, কোথাও একক প্রার্থী থাকলে সেই আসনে ‘না’ ভোটসহ একগুচ্ছ সংশোধনী এনে আরপিও ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন মন্ত্রণালয় সংশোধনীগুলো খতিয়ে দেখার পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
সংশোধনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সরকার ও ইসির মধ্যে মতবিরোধে ইসির চাহিদার প্রাধান্য, তফসিলের ৪৫ দিন আগেই প্রশাসন ও পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসির অধীনে থাকা, নির্দেশনা অমান্যে সরকারি কর্মকর্তাদের গোপনীয় অনুবেদন ও শাস্তি দেবে ইসি।
এছাড়াও সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে, দুইজন প্রার্থী সর্বোচ্চ সমান ভোট পেলে লটারি প্রথা বাদ দিয়ে ফের ভোট, প্রার্থীদের জামানত বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা, ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকা, নির্বাচনি ব্যয় তদারকি কমিটি গঠন, দলের নির্বাচনি আয়-ব্যয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ, প্রতীক বরাদ্দের আগেই মামলার নিষ্পত্তি, হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে ভোটের পরেও ব্যবস্থা, মিথ্যা অভিযোগ প্রদানে মামলাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে।