‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখেন ভাগ্যশ্রী। সালমান খানের বিপরীতে তাঁর এই প্রথম ছবিটিই হয়ে ওঠে তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলোচিত কাজ। তবে তাঁর অভিনয়জীবনে এমন এক অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা—এক ছবিতে তিনি কাজ করেছিলেন এক ভয়ঙ্কর গ্যাংস্টারের সঙ্গে, যার বিরুদ্ধে ছিল ২০টিরও বেশি হত্যার অভিযোগ!
সম্প্রতি দূরদর্শন সহ্যাদ্রীর এক সাক্ষাৎকারে ভাগ্যশ্রী এই ঘটনাটি শেয়ার করেন। তিনি জানান, “আমি যখন কোনো চরিত্রে অভিনয় করি, তখন চাই দর্শকের মনে সেটি গভীরভাবে দাগ কাটুক। সেই সময়টায় বিবাহিত অভিনেত্রীদের জন্য কাজের সুযোগ কম ছিল, আর যেসব প্রস্তাব আসত, সেগুলোর মানও বিশেষ ভালো লাগত না। আমি কন্নড়, তেলেগু ও বাংলা ছবিতেও কাজ করেছি। এক তেলেগু ছবিতে কাজ করতে গিয়ে এক বাস্তব গ্যাংস্টারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করি। শুটিং চলাকালীন আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”
ভাগ্যশ্রী আরও জানান, সরকারের অনুমতিতে কয়েকজন অপরাধীকে জেল থেকে বাইরে এনে শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ছবির গল্প তৈরি হয়েছিল তাঁদের জীবনের ওপর ভিত্তি করে। ভাগ্যশ্রীর চরিত্র ছিল এক সাংবাদিকের, যে এই অপরাধীদের সাক্ষাৎকার নেয়, তাঁদের জীবন কাহিনি জানে এবং তথ্য সংগ্রহ করে। ছবিটি এই বার্তাই দিতে চেয়েছিল—কেউ অপরাধী হয়ে জন্মায় না; জীবনের কঠিন পরিস্থিতিই অনেককে ভুল পথে ঠেলে দেয়। সমাজ চাইলে মানুষকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারে।
ভাগ্যশ্রী বলেন, “আমি যখন ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হই, তখন গল্পটা খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। একদিন শুটিংয়ের সময় আমাকে হঠাৎ জানানো হয়—‘গ্যাংস্টার ভাই আসছেন, যাঁর বিরুদ্ধে ২০–৩০টি খুনের অভিযোগ রয়েছে।’ শুনেই আমি থমকে যাই। তিনি যখন সেটে এলেন, গায়ে ঝকঝকে সোনালি পোশাক, গলায় মোটা চেইন আর সঙ্গে ১০–১২ জন দেহরক্ষী। তিনি এসে বসে বললেন, ‘আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি।’ শুনে আমার যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল!”
পরে সেই গ্যাংস্টার ভাগ্যশ্রীকে জানান, তাঁর বোন নায়িকার মতো দেখতে, তাই তিনি এমন অনুভব করেন। এই ব্যাখা শুনে ভাগ্যশ্রী কিছুটা স্বস্তি পান।
তবে সাক্ষাৎকারে ভাগ্যশ্রী সেই গ্যাংস্টারের নাম প্রকাশ করেননি।
উল্লেখ্য, ভাগ্যশ্রী ১৯৮৯ সালে হিমালয় দাসানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্কুল জীবন থেকেই দুজনের পরিচয়, আর পরে তা পরিণয়ে গড়ায়। হিমালয় ছিলেন জয়পুরের বাসিন্দা।