spot_img

ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন, ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ

অবশ্যই পরুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজধানী ওয়াশিংটনে সহিংস অপরাধ দমনের জন্য সামরিক বাহিনী এবং ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) তিনি এই পদক্ষেপের কথা জানান, যা তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ‘আইন ও শৃঙ্খলার প্রেসিডেন্ট’ হওয়ার বার্তা দেয়া।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শহরের মেট্রোপলিটন পুলিশকে ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনবেন এবং ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের ওয়াশিংটনের রাস্তায় নামাবেন। যদিও ওয়াশিংটনে সহিংস অপরাধের হার কমেছে, রিপাবলিকানরা অভিযোগ করছেন যে ডেমোক্র্যাট-শাসিত এই শহরটি অপরাধ, গৃহহীনতা এবং আর্থিক অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত।

ট্রাম্প বলেন, “আজ ডিসিতে মুক্তির দিন এবং আমরা আমাদের রাজধানী ফিরিয়ে নেব।” তিনি স্থানীয় পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের যথেষ্ট কঠোর না হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন। একই সঙ্গে, তিনি ওয়াশিংটনে ৮০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের কথা বলেন, যা প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হতে পারে।

হোয়াইট হাউসে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প জানান, তিনি এই একই নীতি নিউইয়র্ক এবং শিকাগোর মতো অন্যান্য শহরেও চালু করার পরিকল্পনা করছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, “অন্য বিশেষায়িত” ন্যাশনাল গার্ড ইউনিটও মোতায়েন করা যেতে পারে, যারা “শক্তিশালী হবে, কঠোর হবে এবং আইন প্রয়োগকারী অংশীদারদের সঙ্গে থাকবে।” এই নতুন পদক্ষেপ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসননীতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যেখানে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার সময় হোয়াইট হাউসের বাইরে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী জড়ো হন। অবসরপ্রাপ্ত এলিজাবেথ ক্রিচলি, যিনি ‘ডিসি স্বাধীনতার কথা বলে, ফ্যাসিবাদ নয়’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছিলেন, বলেন, “এখানে ন্যাশনাল গার্ডের কোনো প্রয়োজন নেই। সবই দেখানোর জন্য। এটা নিছক এক বিশাল নাটক।”

এদিকে, এফবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশব্যাপী সহিংস অপরাধের হার অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্ন হলেও, গ্যালাপের এক জরিপে দেখা গেছে যে ৬৪ শতাংশ মার্কিন মনে করেন, ২০২৪ সালে অপরাধ বেড়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি ট্রাম্পের পদক্ষেপকে সমর্থন করে বলেছেন, “আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই—ডিসিতে অপরাধের অবসান ঘটছে এবং আজই তা শেষ হচ্ছে।”

সর্বশেষ সংবাদ

জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত মোদির

শুল্কারোপ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ