মার্কিন মধ্যস্থতায় একটি শান্তি চুক্তি সই করেছে চিরবৈরী দুই দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এর ফলে কয়েক দশকের সংঘাতের পর দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার এবং তাদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিকীকরণের দিকে পরিচালিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুই দেশের নেতাদের বৈঠকে এই শান্তি চুক্তি হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য যা নিশ্চিতভাবে মস্কোকে হতবাক করবে। কারণ, এই অঞ্চলটিকে তার প্রভাব বলয়ের মধ্যে দেখে রাশিয়া।
বৈঠকে ট্রাম্পের পাশে ছিলেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। এই চুক্তির বিষয়ে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক দিন- প্রায় ৩৫ বছর তারা লড়াই করেছে এবং এখন তারা বন্ধু। তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধু থাকবে।
১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে মতবিরোধ শুরু হয়। অঞ্চলটি একটি পাহাড়ি আজারবাইজান অঞ্চল যা বেশিরভাগ জাতিগত আর্মেনীয় অধ্যুষিত। আর্মেনিয়ার সমর্থনে আজারবাইজান থেকে আলাদা হয়ে যায় এলাকাটি। ২০২৩ সালে আজারবাইজান এই অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়, যার ফলে এই অঞ্চলের প্রায় এক লাখ জাতিগত আর্মেনীয় নাগরিক আর্মেনিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
ট্রাম্প বলেন, দুই দেশ যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্মুক্ত করতে এবং একে অপরের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চুক্তিতে দক্ষিণ ককেশাসের মধ্য দিয়ে একটি কৌশলগত ট্রানজিট করিডোরের একচেটিয়া মার্কিন উন্নয়ন অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা শক্তি এবং অন্যান্য সম্পদের বৃহত্তর রপ্তানি সহজতর করবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ জ্বালানি, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য উভয় দেশের সঙ্গে পৃথক চুক্তি সই করেছে। যদিও, এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, আজারবাইজান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে, যা মস্কোর চিন্তার কারণ হতে পারে।