গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে পৃথক অভিযানে গাজীপুর নগরীর সদর থানার সালনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) উত্তরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, ফুটেজ দা, ছুরি ও চাপাতি হাতের যাদের দেখা গেছে, গ্রেফতারকৃত ৩ জন তাদের মধ্যে ছিল।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে, ঘটনার শুরুতে ভিডিওতে যে নারীকে দেখা গেছে, যে নারীকে কেন্দ্র হামলার ঘটনা সেই নারী। তার নাম গোলাপি। এছাড়া ফুটেজে চাপাতি হাতে (দাড়িওয়ালা এবং মাথায় ক্যাপ পড়া) কোপানোর জন্য যাকে দৌঁড়াতে দেখা যায় সেই ব্যক্তি চাপাতি ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান। অপরজন ফুটেজে যাকে সাদা শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পড়া চাপাতি হাতে দাঁড়ানো সেই যুবক স্বাধীন। তাদের মধ্যে চাপাতি ফয়সাল ওরফে কেটু মিজানের স্ত্রী গ্রেপ্তারকৃত গোলাপী। এছাড়াও আল আমিন নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যার পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছিল। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার পর আসামিরদের সনাক্ত করা এবং তাদের অবস্থান জানার জন্য চেষ্টা অব্যাহত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ওই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে আরো অনেক কিছু এখন বলা যাচ্ছে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করা যায় জড়িত সবাইকে দ্রুতই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।