রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়েরকৃত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এদিন ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, সুমাইয়া জাফরিনকে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিসি তালেবুর রহমান আরও জানান, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় সুমাইয়া জাফরিনের কী ধরনের ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, এই ষড়যন্ত্রে তার সক্রিয় সম্পৃক্ততার আশঙ্কা রয়েছে যা বিস্তারিতভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলাটির তদন্তের অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে।
এর আগে, ৬ আগস্ট বুধবার সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপনে গেরিলা ধাঁচের সামরিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। যেখানে সুমাইয়া জাফরিন ও তার স্বামী মেজর সাদিকুল সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই গোপন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাকে খুঁজছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে মেজর সাদিক সেনা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে সামরিক আইন অনুযায়ী তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সুমাইয়া জাফরিনের নাম উঠে আসে এবং পরবর্তীতে মিরপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।