টানা গোল, জোড়া অ্যাসিস্ট—দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন লিওনেল মেসি। একের পর এক রেকর্ড গড়ে মেজর লিগ সকার মাতাচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। কিন্তু হঠাৎ করেই ছন্দে ব্রেক! লিগস কাপের ম্যাচে মাত্র ১১ মিনিটেই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। অধিনায়ককে হারিয়ে ১০ জনের দল নিয়েও তবে দমে যায়নি ইন্টার মায়ামি, শেষ পর্যন্ত তুলে নিয়েছে কষ্টার্জিত এক জয়।
ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে নেকাক্সার মুখোমুখি হয়েছিল মেসি-ডি পলদের মায়ামি। ম্যাচে তাদের জয় ছাপিয়ে এখন আলোচনায় এলএমটেনের চোট। মেসির ইনজুরি কতটা গুরুতর সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খেলার বয়স ৮ মিনিট পেরোনোর পর প্রতিপক্ষের বক্সের কাছাকাছি যেতেই মেসিকে ঘিরে ধরেন রাউল সানচেজ এবং আলেক্সিস পেনা। তাদের ট্যাকেলে পড়ে যাওয়ার পর তিনি হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট টের পান।
এরপর খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন না বিবেচনায় মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় মেসিকে। পরবর্তীতে মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো জানিয়েছেন, ‘সে (মেসি) অস্বস্তি বোধ করছিল। কালকের আগে আমরা তার ইনজুরি কতটা গুরুতর জানতে পারব না। সম্ভবত সেখানে কিছু একটা হয়েছে। তার পায়ে ব্যথা নেই, মনে হচ্ছে না গুরুতর কিছু। তবে সেই অস্বস্তিতে আছে এটা নিশ্চিত।’
নির্ধারিত সময়ে মায়ামি-নেকাক্সার ম্যাচটি ২-২ গোলে সমতায় ছিল। লিগস কাপের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে জয়ী দল ৩ পয়েন্ট পায়, আর পরে টাইব্রেকারে জিতলে পায় ২ পয়েন্ট। সে হিসাবে ২ ম্যাচে মায়ামির পয়েন্ট এখন ৫। টাইব্রেকারে মায়ামি জিতেছে ৫-৪ ব্যবধানে। নির্ধারিত সময়ের খেলায় মায়ামির পক্ষে একটি করে গোল করেন তেলাস্কো সেগোভিয়া ও জর্দি আলবা। বিপরীতে মেক্সিকান ক্লাবটির পক্ষে টমাস বাদালোনি ও রিকার্ডো মনরিয়াল গোল করে সমতা ফেরান।
এর আগে মেসি মাঠ ছাড়ার পরপরই তেলাস্কোর গোলে খেলায় লিড নেয় মায়ামি। তবে ১৭ মিনিটে তারা বড় ধাক্কা খায়। ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকন লাল কার্ড দেখায় বাকি সময়ে মায়ামিকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে। এরপর প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে নেকাক্সা। ৬০ মিনিটে নেকাক্সার ক্রিস্টিয়ান ক্যালদেরন লাল কার্ড দেখলে উভয় দলই ১০ জনে পরিণত হয়। ৮১ মিনিটে মেক্সিকোর ক্লাবটি লিড নেওয়ার পর যোগ করা সময়ে রদ্রিগো ডি পলের অ্যাসিস্টে ফের সমতা ফেরান জর্দি আলবা।