spot_img

মনোযোগসহ কোরআন তিলাওয়াতের উপকার

অবশ্যই পরুন

মনোযোগ ও চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াতের চেয়ে মানুষের জন্য উপকারী আর কোনো বিষয় নেই। কেননা কোরআন রাত্রী জাগরণকারীদের গন্তব্য, আমলকারীদের অবস্থা ও আল্লাহপ্রেমীদের মর্যাদাগুলো একত্রকারী। কোরআন তিলাওয়াতের ফলে মুমিন আল্লাহর ভালোবাসা, ইবাদতের আগ্রহ, আল্লাহর ভয়, আল্লাহর প্রতি আশা, তাঁর প্রতি বিনয়, ভরসা, সন্তুষ্টি, আত্মসমর্পণ, কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্যের গুণাবলী অর্জন করে। বস্তুত এসব গুণাবলীর মাধ্যমে অন্তর জীবন লাভ করে এবং তাতে পূর্ণতা আসে। একইভাবে তা মুমিনকে যাবতীয় মন্দ কাজ ও বৈশিষ্ট্য থেকে দূরে রাখে, যার কারণে মানবাত্মার ধ্বংস ও পতন নেমে আসে।

যদি মানুষ জানত চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে কোরআন তিলাওয়াত করলে কি অর্জিত হয় তবে মানুষ সবকিছু ছেড়ে কেবল কোরআনই তিলাওয়াত করত। গভীর মনোযোগসহ কোরআন পাঠ করলে বোঝা যায় এর প্রতিটি আয়াতেই রয়েছে আত্মার আরোগ্য। ফলে মুমিন একই আয়াত বার বার তিলাওয়াত করে, এমনকি তা শতবারও তিলাওয়াত করে। মনোযোগ, চিন্তা-গবেষণা ও অধ্যবসয়ের সঙ্গে একটি আয়াত তিলাওয়াত করা অমনোযোগী হয়ে পুরো কোরআন খতম করার চেয়ে উত্তম এবং অন্তরের জন্য অধিক উপকারী, ঈমান ও ইবাদতের স্বাদ লাভে অধিক সহায়ক।

পূর্বসূরী আলেমদের অভ্যাস ছিল তারা একই আয়াত বার বার তিলাওয়াত করতেন, এমনকি একটি আয়াত সকাল পর্যন্তও তিলাওয়াত করতেন। আবু জর (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) একটি আয়াত সারা রাত তিলাওয়াত করেছেন, এমনকি সকাল হয়ে গেছে। তা হলো—‘যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন তবে তারা আপনারই বান্দা। আর যদি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন তবে আপনি তো মহাপরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ১১৮)

হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ কোরআন অবতীর্ণ করেছেন তার ওপর আমল করার জন্য। সুতরাং আমলের নিয়তে তা তিলাওয়াত কোরো। অন্তরকে সুস্থ রাখতে চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াত করা সবচেয়ে উপযোগী বিষয়।’

মুহাম্মদ ইবনে মুনজির (রহ.) সম্পর্কে বলা হয় যে তিনি, তাঁর মা ও বোন নিজেদের মধ্যে রাতকে তিন ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলেন। তাদের প্রত্যেকেই রাতের এক তৃতীয়াংশ ইবাদতে অতিবাহিত করতেন। ফলে তাদের ঘর রাতের কোনো অংশেই ইবাদত শূন্য হতো না। এরপর তাঁর বোন মারা গেলেন। তখন তিনি ও তাঁর মা নিজেদের ভেতর রাতকে দুইভাগে ভাগ করে নিলেন। অতঃপর তাঁর মাও মারা গেলেন। তখন পুরো রাত তিনি একা একা ইবাদত করতেন।

এভাবেই ইবাদত ও তিলাওয়াতের মাধ্যমে নিজেদের ঘরকে জাগ্রত করে রাখতেন পূর্বসূরী বুজুর্গরা। আল্লাহ সবাই দ্বিনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

মাওয়াইজুল আখিরাহ থেকে আলেমা হাবিবা আক্তারের ভাষান্তর

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাম্পের আদেশে ১২ বছর পর আবার স্কুলে ফিরছে ‘প্রেসিডেনশিয়াল ফিটনেস টেস্ট’

আমেরিকার সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা আবারও খেলাধুলার পোশাক পরে মাঠে নামতে যাচ্ছে প্রেসিডেনশিয়াল ফিটনেস টেস্টে অংশ নিতে, যা প্রায় এক...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ