spot_img

বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক জয়: ড্যানিলোভিচ

অবশ্যই পরুন

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ২০ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণকে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনাভিত্তিক কূটনৈতিক পদ্ধতির একটি সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন উপরাষ্ট্রদূত জন এফ ড্যানিলোভিচ।

শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে (বাংলাদেশ সময়) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, গত চার মাস ধরে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে চলা আলোচনায় বাংলাদেশ দলের প্রধান আলোচক ড. খলিলুর রহমান বিভিন্ন দিক থেকে নানা চাপ ও সমালোচনার মুখে ছিলেন।

ড্যানিলোভিচ বলেন, ‘এখন যেহেতু এই আলোচনার ফলাফল উভয় দেশের জন্যই ইতিবাচক, আমি আশা করি সমালোচকরা তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবেন।’ খবর সমকালের।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়নে অগ্রগতি, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি নিয়ে ইতিবাচক ঘোষণার মতো বিষয়গুলো-সব মিলিয়ে এটি বাংলাদেশের স্বার্থে কাজ করা সবার জন্য একটি ভালো সপ্তাহ।’

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করে ৬৯টি দেশ ও বাণিজ্য অংশীদারের পণ্যের ওপর নতুন করে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপ করেন। এর হার ১০ শতাংশ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত। শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই শুল্ক আরোপের লক্ষ্য হলো যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে কিংবা যাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বাণিজ্যিক ভারসাম্য নেই, তাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর চাপ বাড়ানো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন,‘আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কগুলোতে পারস্পরিকতা ও ভারসাম্যের অভাব রয়েছে।’

এই শুল্ক একটি জাতীয় জরুরি অবস্থার প্রতিক্রিয়া হিসেবে জারি করা হয়েছে, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর ঘোষিত হয়েছিল। এই আদেশ অনুযায়ী, সই হওয়ার পর থেকেই এসব দেশ ও অঞ্চলের পণ্যের ওপর এ শুল্ক কার্যকর হয়ে যাবে। শুক্রবার (১ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

এর বাইরে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে ট্রাম্প কানাডার কিছু পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের আরেকটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল ও অন্যান্য অবৈধ মাদক প্রবাহ ঠেকাতে সহযোগিতা করছে না- এই অভিযোগে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বর্তমান নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী যেসব দেশ ১৯ শতাংশ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক হার পেয়েছে-এগুলো তুলনামূলকভাবে উচ্চ ও মাঝারি পর্যায়ের কঠোরতার তালিকায় রয়েছে।

বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪১ শতাংশ এবং ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে।আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে, পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ চূড়ান্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১ আগস্ট) শুল্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় এ হার উল্লেখ করা হয়। তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে কয়েক ডজন দেশের শুল্কের হার।

‘ফারদার মডিফাইং দ্য রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ রেটস’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ৬৯টি বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের নাম ও সংশ্লিষ্ট ‘সংশোধিত’ শুল্কহার তালিকাভুক্ত করেছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়ল উগান্ডা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উগান্ডার ইতিহাস খুব সমৃদ্ধ না হলেও গত কিছু বছর ধরে তারা নিজের পরিচিতি সৃষ্টি করেছে। ১৯৯৮ সালে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ