টানা ছয়বার উইম্বলডনের ফাইনাল খেলেছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতবারের টাইটেলধারী নোভাক জোকোভিচ। তবে কার্লোস আলকারাজের বিপক্ষে ২০২৩ ও ২০২৪ শেষ দুই আসরে তাকে রানারআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবারও জোকোভিচ স্প্যানিশ তারকারই দেখা পেতেন। তবে তার আগে জ্যানিক সিনারের কাছে হেরে ছিটকে গেলেন এই সার্বিয়ান তারকা। ফাইনালের মহারণে উঠেছেন দুই শীর্ষ তারকা আলকারাজ-সিনার।
টেনিসের বর্তমান নম্বর ওয়ান সিনারের কাছে ৬–৩, ৬–৩, ৬–৪ গেমে হেরে অবশ্য জোকোভিচ অন্তত আরও একবার সেন্টার কোর্টে নামার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর তিনি বলেন, ‘আশা করি সেন্টার কোর্টে এটি আমার শেষ ম্যাচ নয়। আমি আজই উইম্বলডন ক্যারিয়ার শেষ করার পরিকল্পনা করছি না। তাই নিশ্চিতভাবেই আরও একবার এখানে নামতে চাই, খেলতে চাই সেন্টার কোর্টে।’
২৩ বছর বয়সী ইতালিয়ান তারকা সিনারের সঙ্গে ৩৮ বছর বয়সী জোকোভিচের পারফরম্যান্সের ফারাকটা ছিল স্পষ্ট। এবারের টুর্নামেন্টেও তার চোটের ধকল ছিল। তার সঙ্গে ছিল অল ইংল্যান্ড ক্লাবের ওপর পতিত ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, যা বেশ ভুগিয়েছে গ্যালারিতে আসা নামি-দামি ব্যক্তিসহ সকল টেনিসভক্তকে। গত মাসে এই সিনারের কাছেই হেরে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিলেন পুরুষ এককের সর্বোচ্চ ২৪টি গ্র্যান্ডস্ল্যামজয়ী জোকোভিচ। সেই টুর্নামেন্টে অবসরের ইঙ্গিত দেওয়া এই সার্বিয়ান তারকা এবার সেন্টার কোর্ট ছাড়লেন সবার উষ্ণ অভ্যর্থনা নিয়ে।
এর আগে পুরুষ এককের প্রথম সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ফ্রিটজকে ৬-৪, ৫-৭, ৬-৩, ৭-৬ (৮/৬) গেমে হারিয়েছেন দুই নম্বর তারকা আলকারাজ। এই দুজনের লড়াই হয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত। উইম্বলডনে সর্বশেষ দুইবারের এই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফাইনালে লড়বেন সিনারের সঙ্গে। স্প্যানিশ তারকা আলকারাজ এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট উইম্বলডনের ফাইনালে উঠলেন। অন্যদিকে প্রথমবার এখানে ফাইনাল খেলবেন সিনার।