শৈশবে অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক থেকেই মাত্র ১৪ বছর বয়সে নাম লেখান চলচ্চিত্রে। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে রিয়াজের বিপরীতে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। ১৯৯৮ সালের ১৫ মে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি পূর্ণিমাকে।
২৫ বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমায়, আর দুহাতে কুড়িয়েছেন দর্শকের ভালোবাসা। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো যেন তিনি চিরসবুজ দর্শকের মনে। আজ জনপ্রিয় এই তারকার জন্মদিন। জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই সহকর্মী ও অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন নায়িকা।
তবে জন্মদিনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই বলেই জানালেন পূর্ণিমা। দিনটি পরিবারের সঙ্গেই কাটাবেন। বললেন, ‘এই দিনটি আমার জীবনের একটি নতুন অধ্যায়। সব সময় চেয়েছি নিজের পরিবারকে সময় দিতে, এখন সেটাই করছি’।
মা তাগিদ না দিলে কখনো অভিনয়ে আসা হতো না পূর্ণিমার। এর জন্য অভিনয় প্রসঙ্গ এলে মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বরাবরই। তিনি বলেন, ‘আমি আজীবন আমার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। তিনি তাগিদ না দিলে আমি কখনো অভিনয়ে আসতাম না, পূর্ণিমা হয়ে উঠতাম না। আজ আমি যে, মা-ই তার মূল কারিগর’।
পূর্ণিমার প্রথম ব্যবসাসফল সিনেমা ছিল ‘যোদ্ধা’। এরপর একে একে তার ঝুলিতে জমতে থাকে জনপ্রিয় সব ছবি– ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘সুলতান’, ‘পিতা-মাতার আমানত’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘বিয়ের প্রস্তাব’, ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’, ‘মনের মাঝে তুমি’ এবং আরো অসংখ্য।
সমসাময়িক প্রায় সব তারকার বিপরীতে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয় জয় করেছেন পূর্ণিমা। রিয়াজ, মান্না, রুবেল, ফেরদৌস, শাকিব খান, আমিন খান, অমিত হাসানসহ অনেকেরই নায়িকা হয়েছেন তিনি। শুধু সিনেমা নয়, নাটকেও তিনি পেয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, আফজাল হোসেন, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, মাহফুজ আহমেদ, অপূর্বের মতো তারকাদের।
কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন পূর্ণিমা।
এখন পূর্ণিমাকে সহসাই সিনেমাতে দেখা যায় না। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘আহারে জীবন’ সিনেমায়। মাঝেমধ্যে তাকে পাওয়া যায় উপস্থাপনায়। এ ছাড়া এখন স্বামী, সংসার নিয়েই রয়েছেন তিনি।