spot_img

নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করবে পাকিস্তান

অবশ্যই পরুন

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মাঝেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় সহায়তার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার জন্য এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসলামাবাদ। খবর বিবিসি’র।

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে পাকিস্তান সরকার বলেছে, “সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংকটের সময় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব আর সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরুপ ট্রাম্পের এই পুরস্কার প্রাপ্য”।

শনিবার পাকিস্তান সরকার তাদের পোস্টে বলেছে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি উভয়ের সঙ্গেই শক্তিশালী কূটনীতির মাধ্যমে দুর্দান্ত কৌশলগত দূরদর্শিতা এবং অগ্রণী রাষ্ট্রনায়কত্বের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন, যা একটি দ্রুত ক্রমাবনতিশীল পরিস্থিতিতে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে ভূমিকা রেখেছে”।

“এই হস্তক্ষেপ একজন সত্যিকার শান্তি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার ভূমিকার সাক্ষ্য হয়ে আছে”। তবে পাকিস্তান সরকারের এমন ঘোষণার বিষয়ে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, ভারত ও পাকিস্তান সংঘাতের অবসান হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির কারণে এবং তিনি তাদের এতে রাজী করাতে বাণিজ্যকেও একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত মাসে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চালিয়ে যেতে হলে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন।

“আমি বলেছি, আমরা তোমাদের সাথে অনেক ব্যবসা করতে যাচ্ছি। এখন এটি (যুদ্ধ) বন্ধ করো,” সাংবাদিকদের বলছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন দেশটির পার্লামেন্টের সেনেট ডিফেন্স কমিটির সাবেক প্রধান মুশাহিদ হুসেইন। “ট্রাম্প পাকিস্তানের জন্য ভালো,” তিনি রয়টার্সকে বলেছেন। “এটা যদি ট্রাম্পের ইগোকে উৎসাহিত করে তাতে তাই হোক”।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মালিহা লোদী সরকারের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করে একে ‘দু:খজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

“একজন মানুষ যিনি গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধকে সমর্থন করেছেন এবং ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে চমৎকার বলেছেন,” তিনি লিখেছেন সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ।

“এটা আমাদের জাতীয় মর্যাদার সাথে আপোষ,” লিখেছেন তিনি।

শুক্রবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল এ লিখেছেন যে, তিনি বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছেন। কিন্তু এটি সত্ত্বেও “না, আমি যাই করি না কেন আমি নোবেল পুরস্কার পাবো না”।

ট্রাম্প এবার দায়িত্ব গ্রহণের পরেই দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ অবসানের কথা বলেছিলেন । যদিও উভয় সংঘাতের ক্ষেত্রেই শান্তি চুক্তি এখনো অনেক দূর।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই ২০০৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য বারাক ওবামার সমালোচনা করে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আট মাসের মধ্যে ওবামা ওই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

তিনি ২০১৩ সালে ওই পুরস্কার বাতিলের জন্য নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন।

সূত্র: বিবিসি।

সর্বশেষ সংবাদ

‘১০ বছরের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হবে ইরান’

কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্রাফট-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিতা পারসি বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কোনো তাৎক্ষণিক বা অস্তিত্ব সংকট...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ