spot_img

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে প্রথমবার ‘প্রাণঘাতী ক্লাস্টার বোমা’ ব্যবহারের অভিযোগ

অবশ্যই পরুন

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী অস্ত্র ‘ক্লাস্টার বোমা’ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলের অভিযোগ, ইরান যেসব প্রাণঘাতী বোমা ব্যবহার করেছে, তা বেসামরিক মানুষের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে বিবেচিত, কারণ যুদ্ধ শেষ হওয়ার বহু পরেও এগুলো বিস্ফোরিত না হয়ে মাটির নিচে থেকে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরান অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যা আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে ছোট ছোট বোমা ছড়িয়ে দেয়-এর উদ্দেশ্য ছিল বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি বাড়ানো। সাত দিন ধরে চলা এই সংঘাতে এটাই প্রথম ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ। তবে এ বিষয়ে তেহরানের মন্তব্য নিতে ব্যর্থ হয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। গত শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে।

ক্লাস্টার বোমা কী: মূলত ছোট ছোট বোমা একত্রিত করে ক্লাস্টার বোমা বানানো হয়। এটি একটি ফাঁপা খোলের মতো যা আকাশ থেকে ফেলা হয় বা ভূমি থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এটি মাঝ আকাশে ফেটে গিয়ে ছোট ছোট বহু বোমা বা সাবমিউনিশন ছড়িয়ে দেয়, যা শত শত হতে পারে এবং কয়েকটি ফুটবল মাঠের সমান এলাকাজুড়ে বিস্তার ঘটাতে পারে।

এই ছোট বোমাগুলো বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে কিছু বিস্ফোরিত হয় না এবং যুদ্ধের বহু পরে বেসামরিক মানুষকে প্রাণঘাতী ঝুঁকিতে ফেলে। অনেকে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও বিস্ফোরণে নিহত বা পঙ্গু হন, এবং এসব অবিস্ফোরিত বোমা খুঁজে বের করে নিষ্ক্রিয় করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও কঠিন।

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির তথ্য অনুযায়ী, ক্লাস্টার মিউনিশন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। এরপর শীতল যুদ্ধের সময় প্রচুর ক্লাস্টার বোমার মজুদ তৈরি করা হয়। এদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শত্রুর ট্যাঙ্ক বা সৈন্যদের ধ্বংস করা।

তবে এই বোমাগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষেত্রে খুব একটা নির্ভুল নয়। আবহাওয়া বা পরিবেশগত পরিস্থিতির কারণে লক্ষ্যচ্যুতি ঘটতে পারে, ফলে বোমা সামরিক লক্ষ্যবস্তু ছাড়া অন্য এলাকাতেও পড়তে পারে।

২০০৮ সালে ক্লাস্টার মিউনিশন কনভেনশন যাত্রা শুরু করে, যা ক্লাস্টার মিউনিশনের ব্যবহার, উৎপাদন, স্থানান্তর ও মজুদ নিষিদ্ধ করে। এ চুক্তির আওতায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের মজুদ ধ্বংস করার নির্দেশ দেয়া হয়। ১২৩টি দেশ এই চুক্তিতে সই করলেও রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র এখনো তা সই করেনি।

চলতি বছরের মার্চ মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ডোব্রোপিলিয়াতে ক্লাস্টার বোমা হামলা চালিয়ে শহরের কেন্দ্রস্থল লক্ষ্য করে হামলা করে, যাতে ১১ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

শাহরুখ খানকে নিয়ে নেট দুনিয়ায় নতুন আলোচনা

শাহরুখ খানের আসন্ন অ্যাকশনধর্মী সিনেমা ‘কিং’ নিয়ে দর্শকমহলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সিনেমাটি পরিচালনায় রয়েছেন ‘পাঠান’ খ্যাত সিদ্ধার্থ আনন্দ।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ