spot_img

মিশরে কারাবন্দি ছেলের মুক্তির দাবিতে মায়ের ২৪৭ দিনের অনশন

অবশ্যই পরুন

ছেলের মুক্তির দাবিতে দীর্ঘ আট মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৬৯ বছর বয়সী ব্রিটিশ-মিশরীয় গণিত শিক্ষিকা লায়লা সুইফ। এখন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন তিনি। লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার হৃদযন্ত্র যেকোনো সময় বিকল হয়ে যেতে পারে। তবুও লায়লা অনড়। বলছেন, “আমার মৃত্যুতেও যদি ছেলের মুক্তি হয়, আমি তাতেও প্রস্তুত।”

লায়লার ছেলে আলা আবদেল ফাত্তাহ একজন যুক্তরাজ্য ও মিশরের দ্বৈত নাগরিক এবং মিশরের অন্যতম বিখ্যাত বিরোধী কণ্ঠস্বর। ২০১১ সালের আরব বসন্তে কায়রোর আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পান তিনি। এরপর ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় টানা কারাবন্দি তিনি। সর্বশেষ তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় কেবল একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ারের দায়ে, যেখানে কারাগারে নির্যাতনের ফলে এক বন্দির মৃত্যুর কথা উল্লেখ ছিল।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আলার সাজা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মিশরীয় কর্তৃপক্ষ তার প্রি-ট্রায়াল হেফাজতের সময় গণনায় অস্বীকৃতি জানায়। এর প্রতিবাদেই লায়লার অনশন শুরু।

ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কিছু তরল গ্রহণে সম্মত হলেও ২০ মে থেকে তিনি আবার পূর্ণ অনশনে ফিরে গেছেন। সম্প্রতি গ্লুকোজ নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে গ্লুকাগন দেওয়া হয়, যা ব্যবহৃত হয় জীবনরক্ষাকারী চিনি সরবরাহে। বর্তমানে তার শরীরে কেবল ইলেক্ট্রোলাইট দেওয়া হচ্ছে।

লায়লার মেয়ে সানা সিফ জানিয়েছেন, “তিনি বলছেন, তিনি মারা যাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে বিদায়ের কথাও বলছেন।”

জাতিসংঘের ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন’ এক বিবৃতিতে আলার বন্দিত্বকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি মিশর সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলার মুক্তির বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে মিশর এখনো ব্রিটিশ দূতাবাসকে আলার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি।

বিবিসি রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লায়লা বলেন, “আমার মৃত্যুকে হাতিয়ার বানান। আলা’কে মুক্ত করুন। আমার মৃত্যুকে বৃথা যেতে দেবেন না।”

সর্বশেষ সংবাদ

পশ্চিমাদের চোখ রাঙানো ইব্রাহিম কি হবেন আফ্রিকার মুক্তির নায়ক?

গত মাসের মাঝামাঝি, বিশ্ব যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির পতনের ৮০ বছর পূর্তি স্মরণে রাশিয়ার দিকে নজর রাখছে, তখন...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ