spot_img

বিসিবির নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিসি : ক্রীড়া উপদেষ্টা

অবশ্যই পরুন

দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া ফেডারেশন ফুটবল ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রায়ই আইসিসি ও ফিফার জুজুর ভয় দেখান। ফারুক আহমেদ নিজে পদত্যাগ না করায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পরিচালক মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। এতে তার সভাপতি পদ নেই। এটা অনেকে সরকারি হস্তক্ষেপে আইসিসিরি নিষেধাজ্ঞা বা নির্দেশনার শঙ্কা করলেও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া জানিয়েছেন, সকল কিছুই হয়েছে গঠনতন্ত্র আলোকে এবং আইসিসি’র সঙ্গে আলোচনা করেই।

আজ হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে জাতীয় হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন, ‘জোরপূর্বক সভাপতি অপসারণ হয়নি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সরকার বা এনএসসির যতুটুক ক্ষমতা ততটুকুই করা হয়েছে। ফারুক আহমেদকে সভাপতি পদ থেকে এনএসসি সরায়নি। এনএসসি তাকে পরিচালক মনোনয়ন দিয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতি ও ক্রিকেটের স্বার্থে সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। এই এখতিয়ার এনএসসির রয়েছে। পরিচালক পদ প্রত্যাহার হওয়ায় এর আফটার ইফেক্ট সভাপতি।’

বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয় পরিচালকদের সভায়। সেখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনো এখতিয়ার নেই। সেটা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ফারুক আহমেদকে পরিচালক হিসেবেই মনোনয়ন দিয়েছিলাম। বিসিবির পরিচালকবৃন্দ তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। এভাবেই আমিনুল ইসলামকেও আমরা পরিচালক মনোনয়ন দিয়েছি বিসিবির পরিচালকরা তাকে সভাপতি করেছে। সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। বাংলাদেশে কোনো অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ হয়নি বলে মন্তব্য আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার, ‘অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের কিছু নেই। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে সরকারের যতটুকু ক্ষমতা ও এখতিয়ার রয়েছে ততোটুকুই করা হয়েছে।’

আইসিসির সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আইসিসির সঙ্গে প্রপারলি যোগাযোগ হয়েছে। যিনি এখন সভাপতি হয়েছেন তিনিও আইসিসিতে দীর্ঘ সময় কাজ করে এসেছেন। কোনো কমিউনেকশন গ্যাপ আমাদের দিক থেকে নেই। আইসিসি এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেটের অবস্থা আইসিসির অজানা নয়, সেই জায়গা থেকে তারাও নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছে।’

বিসিবিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটায় পরিচালক রদবদল করলেও আগের কমিটির অনেকেই রয়ে গেছেন। সেই সকল পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে হস্তক্ষেপ করেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তবে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ভালো কমিটির আশা ব্যক্ত করেছেন উপদেষ্টা, ‘৫ আগস্টের পর অনেকে পলাতক ছিলেন। এখন ক্রিকেট বোর্ডের সক্রিয় পরিচালক ৯-১০ জন। জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা পুর্নগঠন হচ্ছে। ক্লাবগুলো অস্তিত্ব বিসিবি দেখছে। প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে লিডারশীপ ট্রানজিশন এবং প্রকৃত সংগঠক, ক্রিকেটার বিসিবিতে আসবে।’

বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ চার বছর। অক্টোবরে চার বছর মেয়াদ পূরণ হবে। আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবির বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করবেন নাকি গঠনতন্ত্র সংস্কার করে করবেন সেটাই দেখার বিষয়। বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবির পরিচালক সংখ্যা ২৫ জন। জেলা-বিভাগ থেকে ১০, ঢাকার ক্লাব থেকে ১২, সাবেক খেলোয়াড় ১ জন নির্বাচিত হন। ২৩ জন নির্বাচিত পরিচালকের সঙ্গে দুই জন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত হন।

বিসিবির চলতি মেয়াদে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় পাঁচ জন পরিচালক মনোনীত হয়েছেন এখন পর্যন্ত। ২০২১ সালের নির্বাচনে আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস এনএসসি পরিচালক ছিলেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তাদের পরিবর্তে ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম পরিচালক মনোনীত হন। সর্বশেষ ফারুক আহমেদের স্থলাষিভিক্ত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

সর্বশেষ সংবাদ

ভক্তদের চমকে দিয়ে ওটিটিতে আগেই মুক্তি পেল ‘রেট্রো’

পর্দা কাঁপানো দক্ষিণী সুপারস্টার সুরিয়ার বহু আলোচিত ছবি ‘রেট্রো’ এবার পৌঁছে গেছে ঘরে ঘরে। ১ মে ২০২৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ