‘মিশন ইম্পসিবল’, হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজের আইকনিক সিনেমা। এ ফ্রাঞ্চাইজির সাতটি সিনেমা এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে অষ্টম কিস্তি ‘দ্য ফাইনাল রিকনিং’র। ২৩ মে এটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে। ইতোমধ্যেই ভারতে মুক্তি পেয়ে দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি।
গত ১৪ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবে জমকালো প্রিমিয়ার হয় ছবিটির। আইকনিক ‘মিশন ইম্পসিবল’ থিম বাজতে বাজতেই রেড কার্পেটে হেঁটে এলেন টম ক্রুজ, পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি, অভিনেত্রী হেইলি অ্যাটওয়েল, সাইমন পেগ, অ্যাঞ্জেলা বাসেট ও হ্যানা ওয়াডিংহ্যাম।কান-এর মঞ্চে, পরিচালক ম্যাককোয়ারির মাস্টারক্লাস চলাকালীন হঠাৎ হাজির হলেন ক্রুজ। আর সেখানেই ধরা দিল তার ৩০ বছরের মিশন ইম্পসিবল যাত্রার আবেগমাখা স্মৃতিচারণা।
তবে কি টম এবার থামছেন! নাকি এভাবেই কাজ করে যাবেন? অনেকেই বলেন, টম ৮০ বছর বয়সী অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের ক্যারিয়ার দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং ফোর্ডের বয়স না হওয়া পর্যন্ত ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিনেমা চালিয়ে যেতে চান।
তবে না, এই সিনেমা থেকে ইতি টানছেন এবার। কিন্তু তিনি অ্যাকশন চালিয়ে যেতে চান আমৃত্যু।
এ বিষয়ে কান উৎসবে টমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও থামবো না। অ্যাকশন করা বন্ধ করবো না! সিনেমা করা বন্ধ করবো না। এসব নিয়ে আমি খুবই আগ্রহী।’
১৯৯৬ সালে শুরু হওয়া ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রায় ৩০ বছর পেছনে তাকালে ক্রুজ কী ভাবেন, এমন প্রশ্নে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি যাদের সাথে কাজ করেছি, তাদের অনেকে অনেক পুরস্কারপ্রাপ্ত ছিলেন। অনেক কলাকুশলীর সঙ্গে আমি সময় কাটিয়েছি। গল্প বলা, জীবন, নেতৃত্ব দেওয়া, চরিত্র সম্পর্কে এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিটি দিক সম্পর্কে আমি যা শিখেছি এবং শিখছি তা সবকিছুই এখান থেকে। এবং এটি সত্যিই ব্যতিক্রমী ছিল। আমি যে ছবিগুলো করেছি, তা করতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি।’
প্রতিটি অ্যাকশন সিনেমায় তিনি দারুণ সব স্টান্ট নেন। এ বিষয়ে এই অভিনেতা রসিকতা করে বলেন, ‘অনেক স্টান্ট আমাকে বাঁচিয়ে রাখে! আমি কী করছি এবং আমাকে কতটা প্রস্তুতি নিতে হবে তার ওপর নির্ভর করে বিষয়গুলো। এতে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়, যা খুব জটিল এবং আকর্ষণীয়।’
‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’ নির্মাণ করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি। এটি তার চতুর্থ ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এতে টম ছাড়াও অভিনয় করেছেন হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং রেইমস, সায়মন পেগ, এসাই মোরালেস, পম ক্লেমেন্টিয়েফ, হেনরি জার্নি, মারিয়েলা গ্যারিগা, অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট প্রমুখ।
বলা প্রয়োজন, এবার ছিলো টমের তৃতীয় কান সফর। প্রথমবার তিনি গিয়েছিলেন ১৯৯২ সালে, রন হাওয়ার্ডের ছবি ‘ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে’-এর প্রিমিয়ারে। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালে তিনি আবার কানে ফিরেছিলেন ‘টপ গান: ম্যাভরিক’ নিয়ে। সেই সফর ছিলো একেবারে স্মরণীয়—আবেগঘনভাবে তাকে প্রদান করা হয়েছিল গৌরবসূচক পাম দ’র, আর তার মাস্টারক্লাস ছিলো দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক অভিজ্ঞতা।