২০১১ সালের মে মাসের ২ তারিখ আল–কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানে খোঁজ পাওয়া যায় লাদেনের। এলাকাটির নাম অ্যাবোটাবাদ। সেখানে ওসামা বিন লাদেনের বসবাস করা বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে।
ওই বাড়ি থেকে বহু ব্যক্তিগত নথিপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মার্কিন সেনারা। লাদেনের মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর পর কিছু গোপন নথিপত্র প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয়। ওই নথিগুলো শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘বিন লাদেনস বুকশেলফ’ ।
সেখানে স্ত্রীকে লেখা লাদেনের একটা প্রেমপত্র পাওয়া যায়। ২০০৮ সালে এক স্ত্রীকে এ চিঠি লেখেছিলেন। এ স্ত্রীর নাম সম্ভবত অমল আল-সাবাহ। ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের এক পরিবারের মেয়ে তিনি। যখন তাদের বিয়ে হয়,অমল আল-সাবা ‘র বয়স ১৮ আর লাদেনের ৪৩।
ওসামা বিন লাদেন সেই চিঠিতে ‘প্রিয়তমা’ সম্বোধন করে লিখেছিলেন, তাঁর মেয়েদের যেন ‘ভালো মানুষদের’ সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। আর ছেলেদের যেন যুদ্ধে পাঠানো হয়।
লাদেনের দেহরক্ষী ছিলেন আবু জিনদাল । আবু জিনদালের মতে, লাদেনের মোট ১১ জন ছেলে। মেয়ে ছিল ৭টির মতো। এদের মধ্যে কেউ কেউ বাবাকে ছেড়ে চলে গেছে। তবে মেয়ের সংখ্যা বিষয়ে জিনদাল কিছু বলতে পারেননি।
লাদেন সেই চিঠিতে আরও লেখেন, ‘প্রিয়তমা আমার, তোমার ওপর আস্থা রয়েছে। আমার সন্তানদের তুমি বিপদগামী হতে দেবে না বলেই তোমার প্রতি আমার এতো ভালোবাসা। সূত্র, বিন লাদেনস বুকশেলফ ।