spot_img

ভক্ত-সমর্থকদের দুঃসংবাদ দিলেন জকোভিচ

অবশ্যই পরুন

গতবছর প্যারিস অলিম্পিকে সর্বশেষ স্বর্ণ জয় করেছিলেন নোভাক জকোভিচ। এরপর আর কোন শিরোপার দেখা পাননি এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা। এ বছরের শুরুটাও ভাল হয়নি জোকারের। গত মাসে মায়ামি ওপেনের ফাইনালে পরাজিত হওয়ার পর মন্টে কার্লো মাস্টার্স ও মাদ্রিদ ওপেন থেকেও আগেভাগেই বিদায় নিয়েছেন। এবার ইতালিয়ান ওপেনে খেলছেন না রেকর্ড ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী।

আগামী ৭-১৮ মে পর্যন্ত ইতালির রাজধানী রোমে অনুষ্ঠিত হবে ইতালিয়ান ওপেন। ক্লে কোর্টে মৌসুম শুরু হবার আগে বিশ্বের পাঁচ নম্বর খেলোয়াড় চোখের প্রদাহ নিয়ে বেশ সমস্যায় ভুগছেন ৩৭ বছর বয়সী জকোভিচ। তার নাম প্রত্যাহারের বিষয়টি টুর্নামেন্ট আয়োজক সূত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছে। জকোভিচের নাম প্রত্যাহারের কারণ অবশ্য উল্লেখ করেনি আয়োজকরা।

২০২২ সালে সর্বশেষ মাস্টার্স এই টুর্ণামেন্টে বিজয়ী জকোভিচ এ পর্যন্ত ছয়বার শিরোপা জয় করেছেন। তবে এই বছরে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি তিনি। শিরোপা বিহীন থাকার ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের সাথে এখন তিনি মানিয়ে নেবার চেষ্টা করছেন। মাদ্রিদ ওপেনে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেবার পর জকোভিচ ইঙ্গিত দিয়েছেন স্প্যানিশ রাজধানীতে এটাই হয়তো তার শেষ ম্যাচ।

গত ২৬ এপ্রিল মাদ্রিদ ওপেনে ইতালিয়ান অখ্যাত মাত্তেয়ো আর্নাল্ডির কাছে ৩-৬, ৪-৬ ব্যবধানে পরাজিত হন জকোভিচ। এরপরেই নিজের হতাশা প্রকাশ করেন তিনি, ‘হারলে কারোরই ভালো লাগে না। আমিও হতাশ। এ বছর কয়েকটা প্রতিযোগিতায় প্রথম রাউন্ডেই হেরে গেলাম। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ইতিবাচক দিক একটাই। মন্টে কার্লো বা অন্য প্রতিযোগিতাগুলোর তুলনায় এখানে টেনিসটা বেশি উপভোগ করেছি। তবে যেভাবে বা যে মানের টেনিস খেলতে চাই, সেটা পারছি না। চেষ্টা করেও প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছাতে পারছি না। আমার থেকে ভালো খেলোয়াড়ের কাছেই হেরেছি।’

অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে সার্বিয়ান তারকা আরও বলেন, ‘মাদ্রিদে আবার ফিরে আসব। তবে হয়তো খেলোয়াড় হিসেবে নয়। তেমন আশা করছি না। আবার খেলোয়াড় হিসেবে ফিরতেও পারি। আসলে এখন এক-দুটি ম্যাচ জেতার চেষ্টা করছি। কোনো প্রতিযোগিতাতেই বেশিদূর যাওয়ার কথা ভাবছি না। এটাই আমার নতুন বাস্তব।’

১০০তম এটিপি শিরোপার অপেক্ষায় থাকা জকোভিচ বলেছেন, ‘২০ বছরের বেশি পেশাদার টেনিস খেলছি। যে ভাবনা নিয়ে এতদিন খেলেছি, তার সঙ্গে এখনকার ভাবনাটা মিলছে না। অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। কোর্টে নামার পর এই রকম অনুভূতি আমার কাছে মানসিক চ্যালেঞ্জ। সব প্রতিযোগিতা থেকে দ্রুত ছিটকে যাচ্ছি। দু-একটা ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়ে কোর্টে নামছি। এটাই হয়তো জীবনের বৃত্ত। খেলোয়াড় জীবন হয়তো এ ভাবেই শেষ হয়। অবশেষে সময়টা আমার সামনেও চলে এলো।’

সর্বশেষ সংবাদ

‘জনগণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ দেখতে চায়’

জনগণ বাংলাদেশ পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত জনতার পুলিশ হিসেবে দেখতে চায়। পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ