প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের শিরোপাটা ঘরে তুলতে লিভারপুলের প্রয়োজন ছিল মাত্র এক পয়েন্ট। টটেনহাম হটস্পারের কাছে কোনোভাবে হার এড়াতে পারলেই চলতো। প্রথমে মনে হবে সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছিল তারা। কিন্তু না, ছন্দপতনে পিছিয়ে পড়ে অলরেডস। তবে, অ্যানফিল্ডে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে— এই সমীকরণকে আর জটিল করতে দেননি সালাহরা। প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগকে লন্ডভন্ড করে ৫-১ ব্যবধানে জয়ের সাথে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন তো বটেই, ইংলিশ লিগের শীর্ষস্তরে সর্বোচ্চ শিরোপাধারী হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে স্পর্শ করলো আর্নে স্লট শিষ্যরা।
রোববার (২৭ এপ্রিল) অ্যানফিল্ডে টটেনহামকে আতিথ্য দেয় লিভারপুল। ম্যাচে স্বাগতিকদের হয়ে গোল করেন লুই ডিয়াজ, ম্যাক অ্যালিস্টার, গাকপো ও সালাহ। একটি গোল হয় আত্মঘাতী।
নিজেদের মাঠে প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় লিভারপুল। যদিও গোলের দেখা পায়নি আর্নে স্লটের দল। তবে ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে উল্টো গোল হজম করে বসে তারা। হেড থেকে দারুণ গোল করে লিভারপুল সমর্থকদের শিরোপা উৎসবে পানি ঢেলে দেন ডোমিনিক সোলাঙ্কি। সেটাতেই যেন তেঁতে উঠল লিভারপুল। চেনা দর্শক, চেনা আবহে স্পার্সকে নিয়ে শুরু করল ছেলেখেলা।
ডোমিনিক সবজলাইয়ের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কলম্বিয়ান উইংগার ডিয়াজ। প্রথমে অফসাইডের পতাকা উঠলেও ভিএআরের রিপ্লের পর পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত বদল হয়। এর দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কোডি গাকপো।
প্রথামার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট দুয়েক আগে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লিভারপুলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যাক-এলিস্টার। ৩-১ ব্যবধানে থেকে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেন ভ্যান ডাইকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা পেতে অবশ্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হয়েছে লিভারপুলকে। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে পাল্টা আক্রমণে উঠে শিরোপা জয়ের অপেক্ষায় থাকা ইংলিশ ক্লাবটি। ৬৩তম মিনিটে সবজলাইয়ের পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে জায়গা বানিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সালাহ। সবশেষ পঞ্চম গোলটি আসে স্পার্সের ডিফেন্ডার ডেস্টিনি উডোগের কল্যাণে। আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালের বল জড়িয়ে দেন এই ইতালিয়ান।
উল্লেখ্য, চার ম্যাচ বাকি থাকতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়া লিভারপুলের ২৫ জয় ও ৭ ড্রয়ে পয়েন্ট ৮২। সমান ৩৪ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে আর্সেনাল।