spot_img

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

অবশ্যই পরুন

আজ ঈদ! ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ২৯ দিন সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় ঈদ উদযাপন করেন।

রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়। এরপরই সারাদেশে ঈদের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে জানান যে, বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে সোমবার সারাদেশব্যাপী পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

তিনি জানান, যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশের মুসলমানরা তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র রমজানে পুরো এক মাস রোজা পালন করে এখন জামাতে ঈদের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ঈদ জামাতের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এ ছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারি বিকল্প ইমাম এবং বাংলাদেশ বেতারের বিশিষ্ট ক্বারী এমদাদুল ইসলাম বিকল্প মোকাব্বির হিসেবে প্রস্তুত থাকবেন। ইমাম বা মোকাব্বিরের অনুপস্থিতিতে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

বৈরি আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া নগরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন।

শাহজাহান মিয়া জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।

মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য পদক্ষেপের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জানান, বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থার জন্য মুসল্লিদের সুবিধায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, জরুরি স্বাস্থ্য সেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে। সুপেয় পানির সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। নামাজ আদায়ের জন্য পবিত্র ও আরামদায়ক কার্পেট ও খাওয়ার পানির ব্যবস্থা থাকবে, সেহেতু মুসল্লিদের জায়নামাজ এবং পানি নিয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য দুটি এবং নির্বিঘ্নে বের হওয়ার জন্য পাঁচটি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নারীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক একটি গেট থাকবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে নির্বিঘ্ন চলাচল ও সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বছর ঢাকা মহানগরীতে একশ ১১টি ঈদগাহে ও এক হাজার ৫শ ৭৭টি মসজিদসহ মোট ১ হাজার ৭শ ৩৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও ঢাকার অন্যান্য সব স্থানে অনুষ্ঠেয় ঈদ জামাতের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে পুরো জাতীয় ঈদগাহ মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে ডিএমপির বম্ব স্কোয়াড, সোয়াট ও ক্যানাইন (কে-৯) ইউনিট।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার থেকে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনাগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ খচিত ব্যানার মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শন করা হবে।

এদিকে, ঈদুল ফিতরের আগের রাতে সরকারি ভবন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়। সারাদেশে বিভাগ বা জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো প্রধানরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন করে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি সংবাদমাধ্যম যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে।

ঈদ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয় কেন্দ্র, সেফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, দুঃস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশন যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।

এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় সব শিশুপার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে- সকাল ৭টায়, এরপর পর্যায়ক্রমে ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং শেষ ঈদ জামাত পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৭টায় প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের প্রধান খাদেম মো. নাসিরউল্লাহ।

সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী। সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আলাউদ্দীন।সকাল পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

ওই পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মাওলানা মো. জাকির হোসেন দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে, বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের বাণিজ্য মেলার পুরনো মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সকাল সাড়ে ৮টায় এই মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নারীদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। ডিএনসিসির উদ্যোগে ঢাকা উত্তরের প্রধান ঈদের জামাত এটি। ঈদের জামাতের পর থাকছে ঈদ আনন্দ মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঈদ মেলা।

এই ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন ক্বারি গোলাম মোস্তফা। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহাম্মদ আল-আযহারী।

ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। প্যান্ডেলের বাইরেও নামাজ আদায়ের জন্য থাকবে কার্পেট ও নামাজের বিছানা। প্যান্ডেলের ভেতরে দক্ষিণ পাশে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।

মাঠে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন অংশে ছয়টি ফটক থাকবে। ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশের সদস্যরা। প্যান্ডেলের দুই পাশে একসঙ্গে ১০০ জন পুরুষ ও ৫০ জন নারীর অজু করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার পানির ট্যাংক রাখা হবে। ঈদের জামাতের জন্য মোট ১২ পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম ও ১০০টি মাইক ব্যবহার করা হবে।

মাঠের প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এবারের ঈদ জামাত ও ঈদ মিছিলে লাখো মানুষ সমাগমের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ঈদ জামাতে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি ওজুর ব্যবস্থা, পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই মাঠে একসাথে লক্ষাধিক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, সরকারের অনেক উপদেষ্টা এই মাঠে ঈদ জামাতে অংশ গ্রহণ করবেন। নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী একসপ্তাহ ধরে কাজ করেছে। সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঈদের আনন্দ মিছিলটি ইতিহাসের একটি অংশ হবে উল্লেখ করে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, এই প্রথম এত বড় পরিসরে ঈদ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইতিহাসের একটি অংশ হবে। আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতিহাসের অংশ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

এছাড়া, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতের হিসাবে এটি হবে ঈদুল ফিতরের একশ ৯৮তম জামাত। সকাল ১০টায় শুরু হবে। এতে ইমামতি করবেন ১৫ বছর আগে রাজনৈতিক কারণে বাদ দেওয়া ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। মুসল্লিদের জন্য থাকছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার মুসল্লি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। জামাত নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

মাঠে একসঙ্গে তিন লাখেরও বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করে থাকেন। রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে বন্দুকের গুলির শব্দে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সংকেত দেওয়া হয়। মুসল্লিদের বিশ্বাস, বড় জামাতে অংশ নিলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এমন বিশ্বাস থেকে ঈদের দিন মুসল্লিদের ঢল নামে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে। পুরো এলাকা জমসমুদ্রে পরিণত হয়। শোলাকিয়ার ঈদ জামাত সবার কাছে বাড়তি আনন্দ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

সর্বশেষ সংবাদ

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ২৭০০ ছাড়ালো

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ