অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যথেষ্ট সরব শবনম ফারিয়া। বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি। এবার কথা বললেন দেশের বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ধর্ষক কীভাবে জামিন পায়?
নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ধর্ষককে যারা জামিন দিয়েছে কিংবা এই প্রসেসের সাথে যারা জড়িত তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা জরুরি।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে একটি সংবাদমাধ্যমের ফটোকার্ড শেয়ার করে ক্যাপশনে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘যেখানে ধর্ষকের শাস্তি আমরা মৃত্যুদন্ড চাই, সেখানে তারা জামিন পেয়ে ঘুরে বেড়াবে? এখানে যা বলা হচ্ছে তা যদি সত্যি হয়, এর থেকে ন্যক্কারজনক কিছু হতে পারে না।’
এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘যদি সত্যি জামিন হয়ে থাকে, তাকে যারা জামিন দিয়েছেন কিংবা এই প্রসেসের সঙ্গে জড়িত, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা জরুরি। দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা এমনিই খারাপ, তার মধ্যে যদি এমন সব ঘটনাও ঘটে, এর থেকে খারাপ দৃষ্টান্ত আর কিছু হতে পারে না।’
এদিকে শবনম ফারিয়ার শেয়ারকৃত ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ৮ বছর আগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রতিবেশীর মেয়ের সঙ্গে খেলা করতে গিয়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ হয়। পরদিন সেই শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। অপরাধী ৫ বছরের ওই শিশুর মাথা, গলা, হাত ও প্রজনন অঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। সিগারেটের ছেঁক দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করে।
এ ঘটনার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধী সাইফুলের বিরুদ্ধে শিশুর বাবা মামলা করেন। অভিযোগের পর অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঘটনার ৮ বছর পর ১৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর জেলা কারাগার থেকে ‘দীর্ঘদিন হাজতবাসের’ কারণ দেখিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাইফুল।
তার মুক্তিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। তিনি বলেন, আমার বাসার কাছেই তার বাসা। চোখের সামনে ঘুরে বেড়ায় সে। এদিকে আমার মেয়ে, মেয়ের মা ঘর থেকে বের হতে পারে না। মেয়েটা চুপ হয়ে গেছে। মনটা ভারী করে থাকে। বিচার তো পেয়েছিলাম, তাহলে এমন হলো কেন? যাবজ্জীবনের আসামি ছাড়া পেল কেন?