পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থায় জামায়াত নির্বাচন চায় না।
আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ মাঠে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের ডোমার উপজেলা শাখা এ সভার আয়োজন করে।
আমিরে জামায়াত বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হলে তা হবে ‘জেনোসাইড অব ইলেকশন’। চরম বিশৃঙ্খলা হবে, রক্তের বন্যায় ভাসবে বাংলাদেশ। আমরা এটা চাই না। আমরা চাই দেশের সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে, জনগনকে স্বস্তির সাথে তার ভোট প্রয়োগের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
শফিকুর রহমান বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে যারা নতুন ভোটার হয়েছে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগের আমলের পৌনে ২ কোটি ভুয়া ভোটার ও মৃতদের ভোটার তালিকা হতে বাদ দিতে হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রশাসকদের জনগণ তাদের প্রতিনিধি মনে করে না, তারা তাদের ঘুষের রেট বাড়িয়ে দিয়ে বেশি হয়রানি করছেন। বিগত আওয়ামী লীগের সময় তারা শালা (শ্যালক), সম্বন্ধি, আত্মীয়-স্বজন মিলে স্থানীয় নির্বাচনের নামে সব কিছু দখল করেছেন। জামায়াতের রাজনীতি জনদুর্ভোগ বাড়াতে নয়, কমানোর জন্য।
শফিকুর রহমান বলেন, আগের চাঁদাবাজরা গিয়েছে। এখন সর্বস্তরের জনগণ বলে হাত বদল হয়েছে। মানুষ বলে রেট বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে চাঁদাবাজ, দখলকার, সেখানে যুদ্ধ। এতগুলো মানুষ জীবন দিল, পঙ্গু হলো, তোমারিতো সহকর্মী। তারা এখন দুনিয়ায় নেই। তাদের জীবন ও রক্তের কোনো মূল্য কি নেই। চাঁদাবাজি দখলবাজি শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি। বাংলাদেশ দুঃশাসন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
বেকারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে সুশিক্ষার পরিবর্তে কু-শিক্ষা দেওয়া হয়। এ শিক্ষা মানুষ বানায় না, দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে না। তাই সার্টিফিকেটের বস্তা নিয়েও চাকরি মেলে না। আমরা ক্ষমতায় গেলে নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি পেশাগত দক্ষ এমন শিক্ষা দেওয়া হবে, যেদিন শিক্ষার পাঠ শেষ হবে সেদিন যোগ্যতানুযায়ী চাকরির অফার লেটার তাদের দেওয়া হবে। আমরা কোনো বেকার থাকতে দেব না।