পবিত্র রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করেন মুসলমানেরা। সূর্যের অবস্থানের কারণে রোজার সময় পরিবর্তিত হয়। বিষুবরেখার কাছের দেশগুলোতে অল্প সময় রোজা রাখতে হয়। অপরদিকে, উত্তর এবং দক্ষিণ অক্ষাংশে ঋতুর উপর নির্ভর করে রোজার সময় বেড়ে যায়। তাই বিভিন্ন দেশে রোজার সময় ভিন্ন হয়।
দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন ওয়েব সাইন জানাচ্ছে, ‘গ্রিনল্যান্ড এবং আলাস্কার মতো যেসব দেশে সূর্য কখনও অস্ত যায় না, এসব দেশের মুসলমানদের মক্কা ও সৌদি আরবের সময় অনুপাতে রোজা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ইসলামিক স্কলাররা। কারণ, এটি ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থান। সৌদি আরব এবং কাতারের মতো দেশগুলো পবিত্র মাস রমজান মাসে প্রতিদিন ১৪ ঘণ্টা রোজা পালন করবেন।’
ওয়েব সাইনটির দেওয়া তথ্যে ২০২৫ সালে দীর্ঘ সময় রোজা রাখতে হবে যেসব দেশে-
– হেলসিঙ্কি, ফিনল্যান্ড (১৭ ঘণ্টা ৫ মিনিট)
– নুউক, গ্রিনল্যান্ড (১৭ ঘণ্টা)
– গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড (১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট)
– অটোয়া, কানাডা (১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট)
– জুরিখ, সুইজারল্যান্ড (১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট)
– রোম, ইতালি (১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট)
– মাদ্রিদ, স্পেন (১৬ ঘণ্টা)
– লন্ডন, যুক্তরাজ্য (১৬ ঘণ্টা)
– প্যারিস, ফ্রান্স (১৫ ঘণ্টা ৫ মিনিট)
– রেকজাভিক, আইসল্যান্ড (১৫ ঘণ্টা)
– ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড (১১ ঘণ্টা ৫ মিনিট)
– পুয়ের্তো মন্ট, চিলি (১১ ঘণ্টা ৫ মিনিট)
– করাচি, পাকিস্তান (১২ ঘণ্টা)
– বুয়েনস আইরেস, আর্জেন্টিনা (১২ ঘণ্টা)
– কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা (১২ ঘণ্টা ৫মিনিট)
– নয়া দিল্লি, ভারত (১২ ঘণ্টা ৫মিনিট)
– জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া (১২ ঘণ্টা ৫মিনিট)
– দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৩ ঘণ্টা)
– নাইরোবি, কেনিয়া (১৩ ঘণ্টা)
পবিত্র রমজান মাস ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মাসগুলোর একটি। কারণ এই মাসে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম ওহী নাজিল হয়েছিল। রমজান মাসকে কোরআন নাজিলের মাস বলা হয়।