সামরিক আইন ঘোষণার কারণে গ্রেফতার ও দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ুল, মঙ্গলবার আবারো আদালতে হাজির হয়েছেন।
তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে কিনা, তা শুনানিতে নির্ধারণ করা হবে। সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
সাবেক প্রসিকিউটর ইউন ৩ ডিসেম্বর বেসামরিক শাসন স্থগিত করে সামরিক আইন ঘোষণা করেন এবং সংসদে সৈন্য প্রেরণ করে গণতান্ত্রিক দক্ষিণ কোরিয়াকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিমজ্জিত করেন।
বিরোধী আইন প্রণেতাদের বিরোধিতায় তার সামরিক আইন জারির প্রচেষ্টা মাত্র ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং পরে এই পদক্ষেপের জন্য তাকে অভিশংসিত করা হয়।
একটি পৃথক ফৌজদারি তদন্তের অংশ হিসেবে, ইউনকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটক করা হয়। তিনিই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি গ্রেফতার হন।
তাকে আটক রাখা হলেও সাংবিধানিক আদালতে তিনি অভিশংসনের শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন। এই শুনানি তার অভিশংসন বহাল রাখা হবে কিনাম তা নির্ধারণ করবে। আদালত অভিশংসন বহাল রাখলে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় (গ্রিনিচ মান সময় ০৫০০ টায়) শুনানিতে অংশ নিতে একটি কালো এসইউভির গাড়ি বহর মঙ্গলবার ইউনকে আদালতে নিয়ে আসে।
মঙ্গলবারের শুনানিতে দুই সাবেক সামরিক কমান্ডার ও একজন সাবেক গুপ্তচর সংস্থার কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন।
ইতোপূর্বে ইউন রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে আইন প্রণেতাদের সামনে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক উপ-পরিচালক হং জ্যাং-ওন। তবে ইউন এই ধরনের আদেশ দেয়ার কথা অস্বীকার করেন।
৬৪ বছর বয়সী ইউনকে জানুয়ারিতে প্রসিকিউটররা ‘বিদ্রোহের মূল নেতা’ বলে অভিযুক্ত করেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ‘বিদ্রোহের’ দায়ে তার পৃথক ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হতে হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার জেল অথবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
সূত্র : এএফপি/বাসস