গত ৩০ ডিসেম্বর পর্দা উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ–বিপিএলের ১১তম আসরের। দীর্ঘ এক মাসের লড়াই শেষে গ্রুপপর্ব পেরিয়ে চার দল জায়গা করে নিয়েছে প্লে-অফে। আর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে তিনটি দল। এবারের আসরে টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে-অফে উঠেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। এ ছাড়া যথাক্রমে চিটাগাং কিংস, রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স প্লে-অফে নিজেদের জায়গা দখল করে নিয়েছে।
চলতি আসরে চতুর্থ দল হিসেবে গতকাল প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা। শেষ দল হিসেবে সেরা চারে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে ছিল খুলনা টাইগার্স ও দুর্বার রাজশাহী। রাজশাহীকে টপকে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল খুলনা টাইগার্স। ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে রাজশাহীকে টপকে প্লে-অফে জায়গা করে নেয় খুলনা।
এবারের আসরের শুরু থেকেই রীতিমতো উড়ছিল রংপুর রাইডার্স। টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করে উত্তরের এই দলটি। সে সময় অনেকেই ভেবেছিল যে টেবিল টপার হয়েই গ্রুপ পর্ব শেষ করবে রংপুর। কিন্তু টানা জয় তুলে নেওয়া রংপুর এরপর বন্দি হয়ে পড়ে হারের বৃত্তে।
টানা আট জয়ের পর পরের চার ম্যাচেই হারতে হয়েছে তাদের। এতে প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও সেরা দুই নিয়ে শঙ্কায় ছিল তারা। কারণ গ্রুপ পর্বের শেষ বরিশালকে হারাতে পারলেই দ্বিতীয়স্থানে উঠবে চিটাগং।
আর এই সমীকরণ মিলাতে ভুল করেননি বন্দরনগরীর দলটি। বরিশালকে ২৪ রানে হারিয়ে সেরা দুইয়ে উঠেছে তারা। প্রথম সেমিফাইনালে হারলেও আরও একটি সুযোগ পাবে চিটাগং। বিপরীতে রংপুরকে খেলতে হবে এলিমিনেটর ম্যাচ। যেখানে খুলনাকে না হারাতে পারলে টুর্নামেন্ট শেষ হবে রংপুরের।
আগামীকাল (সোমবার) থেকে শুরু হবে বিপিএলের প্লে-অফ রাউন্ড। দুপুর দেড়টায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে টেবিলের তিন ও চারে থাকা রংপুর-খুলনা। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। যেখানে দুই টেবিল টপার বরিশাল-চিটাগাং খেলবে ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে। তাদের মধ্যে পরাজিত দল অবশ্য দ্বিতীয় সুযোগ পাবে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা মুখোমুখি হবে এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে।
বিপিএল ২০২৫ এর প্লে-অফ ও ফাইনালের সময়সূচি
তারিখ | ম্যাচ | সময় |
৩ ফেব্রুয়ারি | রংপুর রাইডার্স বনাম খুলনা টাইগার্স (এলিমিনেটর) | দুপুর ১–৩০ মিনিট |
৩ ফেব্রুয়ারি | ফরচুন বরিশাল বনাম চিটাগাং কিংস (প্রথম কোয়ালিফায়ার) | সন্ধ্যা ৬–৩০ মিনিট |
৫ ফেব্রুয়ারি | এলিমিনেটরে বিজয়ী বনাম প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দল (দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার) | সন্ধ্যা ৬–৩০ মিনিট |
৭ ফেব্রুয়ারি | ফাইনাল (প্রথম কোয়ালিফায়ারে বিজয়ী বনাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বিজয়ী) | সন্ধ্যা ৭টা |