ভাগ্যের চাকা বদলাতে চলেছে রাতারাতি সেনসেশন হয়ে উঠা পাথরের মালা বিক্রেতা সেই মোনালিসা ভোঁসলের। ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে তার বাড়ি। যাকে নিয়ে বর্তমানে উত্তাল পুরো ভারত।
পেট চালাতে সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় কুম্ভ মেলায় এসেছিলেন মোনালিসা। মালা বিক্রি করাই তার মূল পেশা। কুম্ভ মেলায় রুদ্রাক্ষ আর পুঁথির মালা বিক্রি করে সমাজমাধ্যমে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিলেন মহেশ্বরের ষোড়শি এই কন্যা। তার ঘন নীল চোখই হয়তো তার ভাগ্য বদলাবার কারণ হতে চলেছে। তার চেহারা ও চোখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবার দৃষ্টি কাড়েন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শোনা গিয়েছিল, মোনালিসা নাকি সিনেমাতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন! সেই খবরকেই সত্যি প্রমাণিত করে জীবনের প্রথম ছবির জন্য তাকে সই করালেন পরিচালক সনোজ মিশ্র।
সনোজ মিশ্রর পরিচালনায় ‘দ্য ডায়েরি অব মণিপুর’ সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছেন মহাকুম্ভের এই ভাইরাল কন্যা মোনালিসা। সম্প্রতি পরিচালক খোদ মোনালিসার মহেশ্বরের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। তার সাথে ছবি দিয়ে তাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মোনালিসার সাথে ছবি পোস্ট করে সনোজ মিশ্র মোনালিসার বলিউড অভিষেকের খবর জানান। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সেই ছবির শুটিং শুরু হবে।
এর আগে ভাইরাল হওয়ার পর পরই শোনা গিয়েছিল, মোনালিসা নাকি আল্লু অর্জুনের নায়িকা হতে চলেছেন! ‘পুষ্পা ৩’-এ তাকেই নাকি নায়িকা হিসেবে পেতে চান আল্লু। সত্যিই যদি এমনটা হয় তবে তো ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল!
ছোটবেলা থেকেই নর্মদা নদীর তীরে কিলা ঘাটে ফুলের মালা বিক্রি করে আসছেন মোনালিসা। এই মাসের শুরুতে মহা কুম্ভ মেলায় এক সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর, রুদ্রাক্ষের মালা বিক্রি করার ভিডিও করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। তারপরেই বদলে যায় মোনালিসার জীবন। অদ্ভুত সুন্দর আকর্ষণীয় চোখ এবং অনন্য চেহারা লক্ষ লক্ষ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে ওঠেন মোনালিসা।
ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তার কাছে মালা কেনার বদলে সেলফি তোলার অনুরোধই বেশি আসতে শুরু করে, পরে বাধ্য হয়েই মেলা ছেড়ে নিজ বাড়ি মহেশ্বরে ফিরে যান মোনালিসা।