spot_img

ভাগ্যের ফেরে পেট্রল পাম্পে কাজ নেন ঐশ্বরিয়ার সহ-অভিনেতা!

অবশ্যই পরুন

বলিউডের ঐশ্বরিয়া, শাহরুখ খানের সহ-অভিনেতা ছিলেন। একের পর এক সুপারহিট সিনেমায় দাপুটে অভিনয়। রজনীকান্ত এবং কমল হাসানের মতো অভিনেতারা বহু দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করার পর, চল্লিশের কোঠায় পৌঁছে যাওয়ায় একটা সময় তাঁদের চাহিদা কমতে থাকে। সেই সময় তরুণ অভিনেতাদের খোঁজ চলতে থাকে। বিজয়, অজিত কুমার, অরবিন্দ স্বামী এবং আর মাধবনের মতো শিল্পীদের আসার পর তামিল ইন্ডাস্ট্রি আবারও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। এমনকী, তাঁরা সকলেই তিন দশকেরও বেশি সময় চলচ্চিত্রে সক্রিয়ভাবে সময় কাটান। তবে শাহরুখ খান এবং ঐশ্বর্যর রাইয়ের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন এমন আরও একজন মুখ ছিলেন। যাঁর ক্যারিয়ার একটা সময় চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। কিন্তু, পরবর্তীকালে এমন পরিস্থিতি আসে যে তাঁকে লাইমলাইট থেকে সরে গিয়ে অন্য পেশা বেছে নিতে হয়েছিল। তিনি অভিনেতা মির্জা আব্বাস আলি।

পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অভিনেতা। ১৯৯৪ সালে কলেজে পড়াকালীন মডেলিং শুরু করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে, তিনি তামিল ছবি ‘কাধল দেশম’ দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এবং দর্শকের প্রশংসা পান। তিনি ‘হার্টথ্রব’ নামেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর কাছে রাতারাতি বহু সিনেমার অফার আসতে থাকে। তেলুগুতে ‘প্রিয়া ও প্রিয়া’, ‘রাজা অউর রাজাহংস’ এবং তামিলেও বক্স অফিসে সুপারহিট বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন আব্বাস। কমল হাসান থেকে শুরু করে শাহরুখ খান-ঐশ্বর্য, ২০০০ সাল নাগাদ তিনি তামিল ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

কমল হাসান ও শাহরুখ খান অভিনীত ‘হে রাম’-এ ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করার পর আব্বাস কান্ডুকোন্ডেইন কান্ডুকোন্ডেইনের সঙ্গে তার সবচেয়ে বড় ব্রেক পান। এই রোমান্টিক ছবিতে তিনি ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন এবং মামুট্টি, অজিত কুমার এবং টাবুও ছিলেন ছবির অন্যতম চরিত্র।

২০০৬ সালের দিকে তাঁর খ্যাতি হ্রাস পেতে থাকে। বলিউডে কাজ করার জন্য অনেক তামিল ছবিও ছেড়েছিলেন অভিনেতা। তবে দক্ষিণের পর সেভাবে পসার জমাতে পারেননি এই ইন্ডাস্ট্রিতে। পরপর বলিউডের বেশ কিছু সিনেমা ফ্লপ হয় তাঁর। এর ফলে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় দীর্ঘ ব্যবধান তৈরি হয়। এরপর তামিল-তেলুগু ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রেও অভিনয় শুরু করেন। কিছুদিন পর তাঁকে শুধুমাত্র ক্যামিও চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ২০১১ সালের পর, অভিনেতার ক্যারিয়ারে বড় ব্রেক আসে।

আব্বাস ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ড চলে যান। সেখানে সব টাকা হারিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য ছোটখাটো চাকরি করতে শুরু করেন। ২০২২ সালে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তিনি বাড়ি তৈরির কাজ করেছিলেন। মেকানিক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এমনকী, বছরের পর বছর পেট্রল পাম্পেও কাজ করেছেন। এখন তিনি হয়ে উঠেছেন মোটিভেশনাল স্পিকার। ২০২৩ সালে ভারতে ফিরে আবারও অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে চেন্নাইয়ে সপরিবারে থাকেন আব্বাস।

সর্বশেষ সংবাদ

শীত নিয়ে নতুন বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস

দেশের অধিকাংশ জায়গায় চলতি সপ্তাহে শীতের তীব্রতা তেমন একটা দেখা যায়নি। প্রতিদিন সূর্য ওঠার পাশাপাশি কুয়াশার দাপটও তেমন একটা...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ