মাটির নিচে বিশাল ক্ষেপণাস্ত্রের শহর তৈরি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তি ইরান। তেহরানের শক্তিশালী সব ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি যেখানে মজুত রয়েছে নতুন প্রযুক্তির বহু মিসাইল। শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) ভূগর্ভস্থ গোপন স্থাপনাটির ভিডিও প্রকাশ করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি। তাদের দাবি- যেকোনো মুহূর্তে, যেকোনো স্থানে হামলার জন্য প্রস্তুত ভূগর্ভস্থ এই স্থাপনাটি।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, যেন রীতিমতো এক বিশাল শহর। সেখানে একের পর এক ভারী ট্রাক, সাঁজোয়া যান চলছে। সারি সারি স্তূপে মিসাইল ঠাসা স্থাপনাটি দেখে বোঝার উপায়ই নেই এর অবস্থান মাটির গভীরে। অবিশ্বাস্য হলেও, এমনই এক ভূগর্ভস্থ প্রতিরক্ষা অবকাঠামো তৈরি করেছে ইরান।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মিসাইলে সুসজ্জিত মাটির গভীরে ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার। সুরক্ষিত এই স্থাপনায় রয়েছে ইমাদ, কদর এবং কিয়ামের মতো ক্ষেপণাস্ত্রেরও মজুত।
তেহরানের দাবি- শত্রুর কাছে অপরিচিত এমন ক্ষেপণাস্ত্রও রাখা হয়েছে ভূগর্ভস্থ অবকাঠামোটিতে। যেখান থেকে হামলা চালানো যাবে মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো প্রান্তে।
ইরানের আইআরজিসি কমান্ডার জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, শত্রুরা ভেবেছিল আমাদের উৎপাদন ক্ষমতায় ভাটা পড়েছে। কিন্তু দিনের পর দিন আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়ছেই। শুধু পরিমাণেই নয় কার্যকারিতা আর দক্ষতাতেও এগুলো অতুলনীয়। প্রতিদিনই সুবিশাল এই স্থাপনায় সেগুলো যুক্ত হচ্ছে।
তবে কৌশলগত কারণেই ভূগর্ভস্থ এলাকাটির অবস্থান প্রকাশ করেনি তেহরান। বলা হয়েছে, কোনো পাহাড়ের নিচে বানানো হয়েছে দুর্গম এই স্থাপনাটি। শত্রুপক্ষের কাছে যার খোঁজ পাওয়া কঠিন।
উল্লেখ্য, বিশাল এই ক্ষেপণাস্ত্রাগারের ১০ শতাংশই দেখানো হয়েছে ভিডিওতে। আদতে যার বিস্তৃতি আরও বিশাল। ভূগর্ভস্থ স্থাপনাটি ছাড়াও, মাটির নিচে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটি রয়েছে ইরানের।