উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার’ বার্তা দিয়ে গেছেন।
বেগম জিয়াকে বিদায় জানানোর পর মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র যেন প্রতিষ্ঠা করা হয়, গণতন্ত্রকে যেন আমরা সবাই মিলে প্রতিষ্ঠা করি এই বার্তা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যাওয়ার সময় তিনি (খালেদা জিয়া) আবারও দেশবাসীকে বলেছেন যে, তারা যেন আমার জন্য দোয়া করেন, আমিও আল্লাহর কাছে এই দোয়া চাই দেশবাসীকে যেন ভালো রাখেন, তাদের কল্যাণ করেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় বছর আটক করে রাখা হয়। আটক করে রাখার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর আমরা বারবার বলেছি, বিদেশে নেওয়ার জন্য সুযোগ দিন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোনো কথাতেই কর্ণপাত করেননি।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পাঁচ আগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন মিথ্যা মামলা থেকে। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন এটা আল্লাহর জন্য শুকরিয়া জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে গুলশান বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর রাত ১১ এয়ারপোর্টে পৌঁছায়। এ সময় ফিরোজার সামনে অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থক সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান। কাতারের আমিরের বিশেষ বিমান ‘রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ এ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। প্রথমে কাতারের রাজধানীর দোহা বিমানবন্দরে যাবেন। দোহা থেকে লন্ডনে যাবেন।
বেগম খালেদা জিয়া ২০১৭ সালের জুলাই মাসের পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফর করছেন। যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সরাসরি তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।