বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার ও তার আত্মীয়-স্বজন মিলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে।
তিনি আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাংকের টাকা লোপাট করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। মানবিক দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের আপামর জনগণের জনপ্রিয় ইসলামী ব্যাংক ধ্বংস করেছে শেখ হাসিনা পরিবার। ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে পরিবার মিলে টাকা লোপাট করেছে।
তিনি বলেন, আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা এই দেশে আর কোনো মাইনোরিটি মেজরিটির কথা শুনতে চাই না।
এ সময় প্রশ্ন রেখে জামায়াত আমির বলেন, কীসের মেজরিটি আর মাাইনোরিটি? যারাই বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করবে তারা সবাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের গর্বিত নাগরিক। রাষ্ট্রের সংবিধান সকলকে সমান অধিকার দিয়েছে। আল্লার সংবিধানও তাদেরকে সমান অধিকার দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে দেশে চাঁদাবাজি দখলদারি ছিল। ফুটপাত থেকে সবকিছু দখল হয়ে গিয়েছিল। এখন আর দখলদারি নেই। আমাদের সন্তানরা এজন্য জীবন দেইনি যে, বাংলাদেশে এখনও চাঁদাবাজি চলবে। আমরা চাঁদাবাজি ও দখলদারি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই এবং আমরাই এটা পারব। কারণ, আমরা সেই দল, যাদের একজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি দখলদারির অভিযোগ নেই।
আওয়ামী লীগ জাতির সঙ্গে বেঈমানি করেছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা জুলুম-গণহত্যা চালিয়েছে। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিওনের অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা। পিওনের এত টাকা থাকলে তিনি কত টাকার মালিক? টাকা পাচার করে যারা বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করেছে তারাই দেশের টাকা চুরি করেছে।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও জেলার নেতারা বিশেষ অতিথির বক্তব্য
দেন।
এ সময় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কয়েক হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।