মালয়েশিয়ার দু’রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ১৬ বাংলাদেশীসহ ১৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সেলাঙ্গরের জেআইএম-এর পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের আমপাংয়ের একটি শপিং সেন্টারে সমন্বিত অপ কুটিপ অভিযানে ৯২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। একই দিনে জোহর রাজ্য থেকে আরো ৪৬ জন অভিবাসী আটক হন।
বিবৃতিতে জানান, আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৩১, বাংলাদেশের ১৬, আফগানিস্তানের ১০, পাকিস্তানের আট, নেপালের চার, থাইল্যান্ডের চার, মায়ানমারের তিন, অস্ট্রেলিয়ার তিন, ভারতের তিন, ফিলিপাইনের দুই, সেইসাথে ইউরোপীয় এবং আফ্রিকান দেশগুলোর আটজন অভিবাসী রয়েছেন।
ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩-এর অধীনে আরো তদন্তে আটকদের সেলাঙ্গর জিআইএম এনফোর্সমেন্ট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন।
এদিকে জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) রাজ্যের চারটি জেলায় বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে ৪৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। ১৭ থেকে ৫৩ বছর বয়সীরা যেখানে কাজ করতেন এবং শ্রমিকদের ডরমেটরিতে রাজ্যের মুয়ার, সেগামাট, মেরসিং এবং বাতু পাহাত শাখার এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়।
রাজ্যের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহদ দারুস বলেছেন, ১ জানুয়ারি মুয়ারে ১৫, চাহের আশেপাশে সেগামাটে ১১, এন্ডাউ, মারসিং-এ ৯, বাতু পাহাতে ১১, মোট ৪৬ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়।
আটককদের মধ্যে ভারতের চারজন, মায়ানমারের ১৭ জন, সাতজন থাই, পাঁচজন বাংলাদেশী, সাতজন ইন্দোনেশিয়ন পুরুষ, দু’জন পাকিস্তানি পুরুষ এবং চারজন নেপালি পুরুষ নাগরিক রয়েছে।