spot_img

সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার আগে যে ৬ বিষয় জেনে রাখা ভালো

অবশ্যই পরুন

যেকোনো সম্পর্ক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে টিকে উঠে। এমনকি সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে কিনা, সেটিও বুঝতে পারা যায়। তবে অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী ভেবে সম্পর্কে জড়ানোর পর হতাশ হতে হয়। মূলত সম্পর্কে জড়ানোর পর নানা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যা সহ্য করা যায় না। আবার সম্পর্ক থেকেও বের হয়ে আসতে নানাকিছু ভাবতে হয়।

এ অবস্থায় মানসিক সুস্থতা প্রয়োজন। আর মনোবিদরা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ জানিয়েছে, যা সম্পর্কে থাকলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।

মানসিক-শারীরিক নির্যাতন: সম্পর্কে জড়ানোর পর যদি অপব্যবহার হতে থাকে যেমন, মানসিক বা শারীরিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটলে তা কখনোই মেনে নেয়া ঠিক নয়। নির্যাতনের মধ্যে মারধর, আঘাত বা ক্রমাগত সমালোচনা থাকতে পারে। অনেক সময় শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে সহিংসতা বা দৃশ্যমান ক্ষতিও থাকতে পারে। তবে যে ধরনেরই নির্যাতন হোক না কেন, এ অবস্থায় সহায়তা নেয়া প্রয়োজন এবং সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ।

সাপোর্টের অভাব: একজন সঙ্গীর কাছ থেকে যেকোনো স্বপ্ন, লক্ষ্য ও মানসিক পরিস্থিতিতে সাপোর্ট পাওয়া জরুরি এবং একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে উভয়েরই পরস্পর সাপোর্ট থাকতে হবে। যা ব্যক্তিগত ও সম্পর্কের উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার বিষয়ও রয়েছে। আবেগ, অনুভূতি ভাগাভাগির ব্যাপারও থাকে। কিন্তু সম্পর্কে সঙ্গীর কাছ থেকে যদি সেসব সাপোর্ট না পান, তাহলে সম্পর্ক থেকে সরে আসাই উত্তম।

অবহেলা: সম্পর্কে সঙ্গীর কাছ থেকে অবহেলা হয়ে আসা মানসিকভাবে কষ্ট দিয়ে থাকে। এমনকি সঙ্গী থাকার পরও একাকীত্ব সৃষ্টি করে। একটি সম্পর্কে দু’জনেরই একে অপরের খোঁজ-খবর রাখা জরুরি। সঙ্গীর প্রশংসা করা, তার প্রতি মনোযোগ দেখানো সম্পর্ক উন্নীত করে।

আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা: সম্পর্কের মধ্যে একে অপরের প্রতি অধিকার রয়েছে। তবে সেসব নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। আপনার কার্যক্রম ও সিদ্ধান্তগুলো কখনো যেন ব্যক্তিত্বকে হ্রাস না করে, বিপরীত মানুষের অস্বস্তির কারণ না হয়। প্রতিটি সুস্থ সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর গড়ে উঠে।

অসততা: প্রতিটি ক্ষেত্রেই সততা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের মধ্যে যদি মিথ্যা বা অসততা ও কোনো তথ্য গোপন করার বৈশিষ্ট্য থাকে কোনো একজনের, তাহলে সেখানে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। সম্পর্কে সবসময় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হয়। যা বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্যতার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে। কিন্তু সঙ্গী যদি অসৎ থাকে তাহলে সেখানে সন্দেহ থাকা স্বাভাবিক। এ অবস্থায় কাছের মানুষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ওই সম্পর্ক থেকে সরে আসা ভালো সিদ্ধান্ত।

যোগাযোগের অভাব: যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে সম্পর্ক টিকে থাকে। কিন্তু কোনো সম্পর্কে যখন যোগাযোগের অভাব থাকে, তখন ভুল বোঝাবুঝি ও অমীমাংসিত সমস্যা তৈরি হয়। যা হতাশা ও দূরত্বের সৃষ্টি করে। অনুভূতি, প্রত্যাশা ও উদ্বেগ সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা কথোপকথন করা প্রয়োজন। যেকোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যা কেবল যোগাযোগের মাধ্যমে সম্ভব। আর সম্পর্কে এই যোগাযোগের অভাব থাকলে তা নিজ থেকেই একসময় বিচ্ছেদে গড়ায়।

সর্বশেষ সংবাদ

সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ